সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

চীন নয়, ভারতে মরতে চাই: দালাই লামা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অফ পিস (ইউএসআইপি) আয়োজিত এক মতবিনিময়ের সময় হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বাসভবনে যুব নেতাদের সাথে দুই দিনের বৈঠকে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা বলেছেন, ‍“তিনি ‘কৃত্রিম’ চীনা কর্মকর্তাদের মধ্যে না থেকে ভারতের প্রকৃত ও প্রেমময় মানুষ, একটি স্বাধীন ও মুক্ত গণতন্ত্রের দ্বারা বেষ্টিত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস নিতে পছন্দ করবেন।”

 

তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কে বলেছিলাম, আমি আরও ১৫-২০ বছর বাঁচব এতে কোনও দ্বিধা নেই। যখন আমি মারা যাব তখন আমি ভারতে মরতে পছন্দ করব। ভারত এমন লোকেদের দ্বারা বেষ্টিত যারা সত্যিকারের ভালোবাসা দেখায়, কৃত্রিম কিছু নয়। আমি চীনা কর্মকর্তাদের মাঝে মরতে চাই না...যারা খুব বেশি কৃত্রিম। আমি স্বাধীন গণতন্ত্রের এই দেশে মরতে পছন্দ করব।’

 

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন যে, ‘বিশ্বস্ত বন্ধুরা যারা সত্যিই আপনার প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা দেখায় তাদের মাঝে থেকেই একজনকে মৃত্যুবরণ করা উচিত।’

 

দালাই লামা, যিনি তার আলোকিত আধ্যাত্মিক শিক্ষা এবং বিচক্ষণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত, চীনা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রায়শই একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে মনে করে। ১৯৫০ এর দশকে, যখন চীন অবৈধভাবে তিব্বত দখল করে, তখন তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতাকে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। দালাই লামা তিব্বতের সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য চীনের সাথে মধ্যপন্থা আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন।

 

দালাই লামা এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি শুধু তার দেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্যও গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করছেন। তিনি চীনা আগ্রাসনের কারণে ৭ মিলিয়নেরও বেশি তিব্বতীয় বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা হিসাবে তার ভূমিকা ত্যাগ করেছিলেন এবং কয়েক দশক ধরে নির্বাসিত জীবনযাপন করেছিলেন।

 

দালাই লামার বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। তিনি একজন শ্রদ্ধেয় ধর্মীয় নেতা এবং ভারতের জনগণ তাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করে। তাকে ভারতে তার ধর্মীয় কার্যক্রম চালানোর জন্য সমস্ত স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। দালাই লামা গত মাসে তিন বছরেরও বেশি সময় পর দিল্লি সফর করেন। লাদাখে একমাস সুদীর্ঘ যাত্রার পর তিনি জাতীয় রাজধানী পরিদর্শন করেন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি/

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর