সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মুসলিম বিশ্বের চাপে ভারত

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:২২ এএম, ১৪ জুন, ২০২২

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্রদের আপত্তিকর মন্তব্যে দেশটি এখন বিশ্বমঞ্চের চাপে রয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সাথে দেশটির সম্পর্ক হুমকিতে পড়েছে। হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া জানায় অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। এমনকি জাতিসংঘকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে কাতার, কুয়েত, ইরান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, ওমান ও গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক ও দেশগুলোতে কর্মরত কয়েকজন ভারতীয়কে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

 

ভারতে মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ডের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে মুসলমানদের ওপর হামলার অনেক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। ২০২০ সালে করোনা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার তাবলিগ জামাতকে দোষারোপ করেছিল। সে সময় দেশটিতে ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। গরু রক্ষার নামেও বেশ কয়েকজন মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

 

কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় উপসাগরীয় অঞ্চলে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক তথা মোদির ভাবমূর্তি তীব্র সংকটে পড়েছে। বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ তাদের রাজধানীতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের ডেকে নিয়ে ভর্ৎসনা জানিয়েছে। অন্যদিকে মুসলিম বিশ্বকে শান্ত করতে বিতর্কিত বিজেপির দুই মুখপাত্রকে তাদের পদ থেকে সরানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, আক্রমণাত্মক কোনো বক্তব্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে না। তবে এ ঘটনা মোদি সরকারের ইসলামবিদ্বেষী চেহারা তুলে ধরে ধরেছে এবং দেশটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

 

 

মহানবীকে (স.) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের পর ভারতের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে, উপসাগরীয় দেশগুলোর ওপর তারা কত নির্ভরশীল। উপসাগরীয় দেশগুলো (ওমান, ইরাক, ইরান, সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও কুয়েত) ভারতের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোদি সরকারের সঙ্গে দেশগুলোর নিবিড় সম্পর্কও তৈরি হয়েছে। সেই দেশগুলো এখন দিল্লির ওপর নাখোশ হয়ে আছে। ভারতের রেমিট্যান্স, বাণিজ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় এ অঞ্চলের অবদান কম নয়। অঞ্চলটিতে প্রায় ৮০ লাখ ভারতীয় প্রবাসীকর্মী কাজ করেন। এ ছাড়া জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে কাজ করে।

 

একুশে সংবাদকম/স.ট.জা.হা

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর