সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহরে ফের লকডাউন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

রবিবার রাত থেকে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহরে লকডাউন। তিন দিনের জন্য লকডাউন করা হচ্ছে অকল্যান্ড শহরকে। জানা গিয়েছে, শহরে করোনার নতুন কেস সামনে আসার পরেই জেসিন্ডা আর্ডারন শনিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকেই তিনদিনের এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শহরে পাওয়া নতুন করোনা সংক্রমণের ব্যাপারে যতদিন না পুরো ব্যাপারটা জানা যাচ্ছে, ততদিন তিনি সজাগ থাকছেন। এই করোনা ভাইরাস আগের থেকেও বেশি সংক্রামক কিনা তাও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।

জেসিন্ডা আর্ডারন জানিয়েছেন, অকল্যান্ডের মতো যাতে অন্য শহরকেও লকডাউন করতে না হয়, সেকথা মাথায় রেখে দেশের অন্য অংশেও চূড়ান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে। রবিবার নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য আধিকারীকরা জানিয়েছেন, অকল্যান্ডে একই পরিবারের তিন সদস্য এমন এক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যেগুলিকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি। আর সেই কারণেই নয়া করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, নয়া করোনা কেস সামনে আসার পর নিজের যাবতীয় প্ল্যানে পরিবর্তন এনেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডারন। করোনা রুখতে মন্ত্রীসভার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য রাজধানী ওয়েলিংটনে ফিরে আসেন।

উল্লেখ্য, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট সফল নিউজিল্যান্ড। যখন অন্যান্য বহু দেশে করোনার মারাত্মক প্রভাব ছিল, সে সময় নিউজিল্যান্ড করোনাকে বাগে আনতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছিল। এখনও বাইরে থাকা আসা কিছু ব্যক্তি নিউজিল্যান্ডে করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে ঠিকই, তবে তাঁদের জন্য ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।

নিউজিল্যান্ডের করোনার ভাইরাস মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা ‘কোভিড -১৯ রেসপন্স মন্ত্রী’ ক্রিস হিপকিন্স জানাচ্ছেন, নিউজিল্যান্ড অন্য দেশের চেয়ে করোনাকে মোকাবিলা করতে বেশি সক্ষম হলেও, নো রিস্ক বলে কিছু হয় না।

একুশেসংবাদ/অমৃ

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর