সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উদ্ভাবন হলো ভারতজিপিটি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

প্রতিবেশি দেশ ভারত ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দিতে উদ্ভাবন করল ভারতজিপিটি নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।

১২টিরও বেশি আঞ্চলিক ভাষায় পরিষেবা দিতে পারে ভারতজিপিটি। আলোড়ন ফেলে দেওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল বানিয়েছে বেঙ্গালুরুর এআই স্টার্টআপ কোরোভার এআই। এই প্রকল্পে ৩৩ কোটি রুপি বিনিয়োগ করতে পারে গুগল। এরই মধ্যে নন-ইকুইটি ফান্ডিং হিয়াবে ৪ কোটি ১৬ লাখ রুপি দেওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।

প্রযুক্তির দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যার ওপর ভর করে পরিষেবায় গতি আনার লক্ষ্যে বড় বড় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি। এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই ভারতের স্টার্টআপ সংস্থাগুলো। আর এরই ধারাবাহিকতায় বেঙ্গালুরুর কোরোভার এআই এনেছে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ভারতজিপিটি।

সংস্থা দাবি করেছে, ১২টিরও বেশি আঞ্চলিক ভাষায় পরিষেবা পাওয়া যাবে এখানে। আমেরিকার ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দিতে চলেছে এই ভারত জিপিটি।

ওপেনএআইয়ে বর্তমানে সব থেকে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে মাইক্রোসফটের। এবার ভারতজিপিটিতে বড় অংকের বিনিয়োগ করতে পারে টেক জায়েন্ট গুগল।

এরই মধ্যে কোরোভার এআই-কে ফান্ডিং দিয়েছে গুগল। শিগগিরই আরো ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথাও রয়েছে।

গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম ব্যবহার করে কোরোভারএআই। পাশাপাশি এই সংস্থার সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ রয়েছে গুগলের। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতজিপিটিতে এই বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে।

ভারতজিপিটি কী?

এটি ভারতে তৈরি একটি জেনারেটিভ এআই মডেল। ২০১৬ সালে শুরু হয়েছে সংস্থার পথচলা। ওপেনএআই চ্যাটজিপিটিতে যেসব পরিষেবা পাওয়া যায়, তা মোটামুটি সবই এখানেও পাওয়া যাবে। তবে সুবিধা হলো, এখানে ১২টিরও বেশি আঞ্চলিক ভাষা সাপোর্ট করবে।

এই চ্যাটবটে ছবি, ভিডিও, ম্যাপসহ একাধিক ডেটা রয়েছে বলে দাবি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের। চ্যাটজিপিটিতে বর্তমানে ৯৫ টি ভাষা সাপোর্ট করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাতেই ব্যবহার হয়। কোরোভারের দাবি, তাদের চ্যাটবটে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ভুল উত্তর দিতে পারে। পাশাপাশি এই চ্যাটবটে বাইরে থেকেও একাধিক কাস্টম ডেটাও যোগ করা যায়।

তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এন্টারপ্রাইস রিসোর্স প্ল্যানিং, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস ইত্যাদি সিস্টেমের সঙ্গে কাজ করতে পারে ভারতজিপিটি এবং রিয়েল টাইম তথ্য দিতে পারে ক্লায়েন্টদের।

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ - হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল, জুমসহ একাধিক অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এই চ্যাটবট। হেলথ, ব্যাঙ্কিং এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে বহু গ্রাহক রয়েছে এই সংস্থার।
 

একুশে সংবাদ/এস কে 

তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের আরো খবর