সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মহাকাশে ‘বিড়ালের শব্দ’ শুনলেন বিজ্ঞানীরা! আপনিও শুনলে অবাক হয়ে যাবেন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১১ আগস্ট, ২০২২

 

মহাকাশে বিড়ালের শব্দ শুনতে পেলেন বিজ্ঞানীরা। তার থেকেও অবাক করার মতো বিষয়টি হল সেই শব্দ আপনিও শুনতে পারেন। তাহলে একবার শুনেই দেখুন না।

 

মহাকাশে 'বিড়ালের শব্দ' শুনলেন বিজ্ঞানীরা! আপনিও শুনলে অবাক হয়ে যাবেন ঠিক বিড়ালের শব্দ নয়। বিড়ালের নামে রাখা হয়েছে এমন নীহারিকা থেকে আগত শব্দ।

 

গত সোমবার 8 অগস্ট বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাও সেই দিনটা সাড়ম্বরেই পালন করেছে। এখন আপনি ভাবতেই পারেন, বিড়ালের সঙ্গে নালার কি সম্পর্ক? সম্পর্কে আছে বৈকি! বিশেষ একটা সম্পর্ক রয়েছে নাসা এবং বিড়ালের মধ্যে। সকলেই জানেন হয়তো যে, মহাকাশে একটি নীহারিকার নামকরণ করা হয়েছে বিড়ালের সঙ্গে। সেই ক্যাটস আই নেবুলার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবসেই সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিয়োতে একটি শব্দ শোনা গিয়েছে। নীহারিকা থেকে নির্গত তরঙ্গ কীভাবে শব্দে রূপান্তরিত হচ্ছে, তাই ভিডিয়ো আকারে প্রকাশ করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত স্পেস ডেটা দেখেই বিজ্ঞানীরা এই জিনিসগুলি বোঝেন। তবে সেগুলি সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয় না। তাই, মানুষের কাছে আরও সহজ ভাবে বিষয়টি বোঝানোর জন্য বিজ্ঞানীরা ওই তরঙ্গকে সোনিফিকেশনে রূপান্তরিত করেছেন।

 

শব্দটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন

 

নাসার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ক্যাটস আই নেবুলা হল একটি গ্রহের নীহারিকা। এখানে সূর্যের মতোই তারা গঠিত হয়। ভিডিয়োটি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, শব্দতরঙ্গ যতই উজ্জ্বল আলোর দিকে এগিয়ে যায়, ততই তার শব্দ আরও প্রকট হতে থাকে। একই সময়ে নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির এক্স-রে ডেটাতে একটি কর্কশ শব্দও শোনা যায়। এটি যৌগিক তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে আরও ভাল ভাবে শোনা যায়।

 

ক্যাটস আই নেবুলার অবস্থায় ঠিক কোথায়

 

পৃথিবী থেকে 3,262 আলোকবর্ষ দূরে ড্রাকোর উত্তর নক্ষত্রমন্ডলে অবস্থিত ক্যাটস আই নেবুলা। এই নীহারিকার নামকরণ যেহেতু বিড়ালের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই সেখান থেকে আগত শব্দ পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবসকেই বেছে নিয়েছে নাসা। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক প্রাণী কল্যাণ তহবিল 2002 সাল থেকে প্রতি বছর 8 অগস্ট আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস উদযাপন করে। এর উদ্দেশ্য হল, বিড়ালদের সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং তাদের সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে মানুষকে শিখতে সাহায্য করা।

 

নীহারিকা কী

আমাদের সূর্যের মতোই মিল্কিওয়েতে কোটি কোটি নক্ষত্র রয়েছে। সূর্যের মতোই কোনও নক্ষত্রের যখন জ্বলতে জ্বলতে হিলিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়, তখনই সেটি বিস্ফোরিত হয়। এই কারণেই গ্যাস ও ধূলিকণার মিশেলে একটি বিশাল মেঘের সৃষ্টি হয়। প্রতিবার বিস্ফোরণ ঘটলে একটি নতুন কাঠামো তৈরি হয়। মুন অবজ়ারভেটরির মাধ্যমে এর এক্স-রে এবং হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এর দৃশ্যমান আলোর ছবি তোলা হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ.কম/জা.হা

তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের আরো খবর