সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ডিজিটাল শিক্ষার প্রধান চ্যালেঞ্জ তিনটি : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২১
ছবি: একুশে সংবাদ

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ ডিজিটাল শিক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল রূপান্তরের বিকল্প কিছু নেই। এজন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল ডিভাইসের সহজলভ্যতা। 

তিনি বলেন, আমাদের মতো দেমের জন্য সবগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এক ধাপে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর করাটা কঠিন বলে আমরা এখন ব্লেন্ডেড শিক্ষার পথ ধরে হাটছি। দুর্গম অঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির দ্রুতগতির ব্রডব্র্যান্ড সংযোগ স্থাপন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে দুর্গম ও প্রত্যন্ত চর-দ্বীপ অঞ্চলে সংযোগ প্রদান, ৫জির উদ্বোধন, দেশে ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন এবং ডিজিটাল ডিভাইস সহজলভ্য করাসহ প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত কনটেন্ট প্রস্তুত করার ফলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা  কঠিন হবে না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

 

গতকাল  বৃহ্স্পতিবার রাতে এটুআই এর উদ্যোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, মেটা (ফেসবুক) এবং আইটিইউ আয়োজিত ইনক্লুসিভ একসেস ফর  ব্ল্যান্ডেড এডুকেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক অনলাইনে প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠানে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন।

 

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম –এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রী ড. দীপু মনি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মেটা-এর  গ্লোবাল হেড অব কানেক্টিভিটি এন্ড একসেস পলিসি মনিকা দেশাই, আইটিইউ-এর  স্পেশাল ইনিসিয়েটিভ গিগা চীফ  এলেক্স অং আলোচনায় অংশ নেন। এটুআই প্রোগ্রামের  পলিসি এডভাইসার  অনির চৌধুরী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

 

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  ডিজিটাল সংযোগকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্যাকবোন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে  অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যে সব দুর্গম অঞ্চলে বিশেষ করে দ্বীপ, চর, পার্বত্য অঞ্চল এবং হাওর এলাকা যেখানে অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগ পৌঁছানে সম্ভব নয় সে সকল অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সংযোগ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে ডাকঘরসমূহকে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। 


মোস্তফা জব্বার বলেন, ইতোমধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন স্থাপন করা হয়েছে। দেশব্যাপি প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় আরও ১২ হাজার ফ্রি ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কাজ আমরা শুরু করেছি। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে পাঠদানের লক্ষ্যে দুর্গম অঞ্চলের ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাস রুম করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কোভিডকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠ গ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ এলাকায়  মোবাইল সংযোগ থ্রি-জি থেকে ফোর-জিতে উন্নীত করেছি। 

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এ অগ্রপুরুষ বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য করার পাশাপাশি আমরা ডিজিটাল ডিভাইস সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে দেশে স্মার্ট ফোন কারখানা গড়ে তুলতে বিনিয়োগকারিদের প্রণোদনাসহ বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করি। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে ১৪টি মোবাইল কারখানা গড়ে উঠেছে। এইসব কারখানা  থেকে উৎপাদিত মোবাইল ফোন দেশের চাহিদার প্রায় শতকরা ৬৩ ভাগ পুরণ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এসব যন্ত্র বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। 


তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেটের মাসিক মূল্য সর্বনিম্ন প্রতি এমবিপিএস ২৮৫ টাকায় নামানো হয়েছিলো। এখন সেটি এক দেশ এক রেট ঘোষণার পর একশো টাকারও নিচে নির্ধারণ করা হয়েছে, এর আগে ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ছিলো ২৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে ২০০৮ সালে যেখানে আট লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলো সেটি ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে ৮ জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ এর ব্যবহার এখন ৩ হাজার জিবিপিইস এ উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগা প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব।


একুশে সংবাদ/আল-আমিন

তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের আরো খবর