সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

করোনা টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ১ মে, ২০২৪

করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ার পর অনেকেই বলছিলেন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। গুঞ্জন স্বীকার করে নিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তাদের করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে বলে স্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি ব্রিটিশ আদালতে জমা দেয়া এক নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, তাদের তৈরি করোনার টিকার কারণে টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে। আদালতে নথি জমা দেবার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা মুখপাত্র বলেছেন, যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যাদের শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাদের জন্য আমাদের সমবেদনা। রোগীদের সুরক্ষা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন ওষুধ যাতে নিরাপদে সকলে ব্যবহার করতে পারেন, সেটা সুনিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।

অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ‘ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সকল ব্যক্তির জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর।’ অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের প্রক্রিয়াজাতকরণে যুক্ত ছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। করোনার এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ এসেছে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে অনেক পরিবার।

টিটিএসের পূর্ণ রূপ হলো ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’, যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। আর এই রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনাটি ঘটে দেহের এমন সব জায়গায়, যেগুলো বেশ জটিল। এর মধ্যে রয়েছে মানুষের মস্তিষ্ক। প্লাটিলেট কমে গেলে রক্তের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে।

ভ্যাক্সজেভেরিয়া, কোভিশিল্ড ও জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনার টিকা যারা নিয়েছেন, তাদের অনেকের শরীরে এসব লক্ষণ দেখা গেছে। টিটিএসের লক্ষণ দেখা যাওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, টিকা সরাসরি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এতে শরীরের ভেতরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা রক্ত জমাট বাঁধায় কাজ করা প্রোটিনকে আক্রান্ত করে কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়।

টিটিএসের লক্ষণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসি বলছে, মানুষের অন্ত্র ও মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। পা এবং ফুসফুসও ঝুঁকির বাইরে নয়। রক্তে প্লাটিলেট কমে প্রতি মাইক্রোলিটারে দেড় লাখে নেমে আসতে পারে।


একুশে সংবাদ/হ.ক.প্র/জাহা

স্বাস্থ্য বিভাগের আরো খবর