সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ম্যালেরিয়ার নতুন ভ্যাকসিন ব্যবহারের সুপারিশ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ৩ অক্টোবর, ২০২৩

মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মৃত্যু হয় অনেক শিশু ও নবজাতকের। এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে নানা গবেষণা ও প্রচেষ্টার পর অবশেষে রোগটির বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ম্যালেরিয়ার নতুন ভ্যাকসিন ব্যবহারের সুপারিশ করেছে। যেটি পাওয়া যাবে স্বল্প মূল্যে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সহায়তায় টিকাটি তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এই টিকাটি বাজারে ছাড়া হবে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে।

সোমবার আর-টুয়েন্টি ওয়ান/মেট্রিকস-এম টিকার সুপারিশ করা হয়।  দুই বছর আগে ২০২১ সালে ম্যালেরিয়ার প্রথম ভ্যাকসিন আরটিএস-এস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল ডব্লিওএইচও। আর এবার দ্বিতীয় টিকা আর-টুয়েন্টি ওয়ান/মেট্রিকস-এমের সুপারিশ করল সংস্থাটি। টিকাটি তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দুটি টিকার কার্যকারিতা প্রায় একই।  একটি অপরটির চেয়ে ভালো বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে ছাড়া হবে এই টিকা। দামো থাকবে হাতের নাগালে। টিকাটির দাম পড়বে ২ থেকে ৪ ডলার। একজন ব্যক্তির নিতে হবে চারটি ডোজ।

ম্যালেরিয়ার দ্বিতীয় টিকার সুপারিশ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস অ্যাধানম গেব্রিয়াসুস।

নতুন টিকার গুণাগুণ মূল্যায়ন করেছেন লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ আসরা গণি ও তার দল। প্রথম টিকার তুলনায় দ্বিতীয় টিকার কার্যকারিতা বেশি বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এরই মধ্যে তিন দেশে নতুন টিকার ব্যবহার শুরু হয়েছে। আগামী বছর আরও কয়েক দেশে এর প্রয়োগ শুরু হবে। টিকাটি বেশ কার্যকর এবং স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাবে। ফলে সাব-সাহারান আফ্রিকার বাসিন্দারা সহজেই টিকাটি গ্রহণ করতে পারবে।’

নতুন এই টিকাটি প্রতি বছর ১০ কোটি ডোজ তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ভবিষ্যতে বছরে ২০ কোটি নতুন এই টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ৬ লাখ মানুষের।

একুশে সংবাদ/এসআর

স্বাস্থ্য বিভাগের আরো খবর