সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ব্যবসায়ীদের পৌস মাস, ক্রেতাদের সর্বনাশ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ১৪ মে, ২০২৩

শনিবার (১৩ মে) থেকে বন্দর নগরীতে লাইনের গ্যাসে চুলা জ্বলছে না। এতে নগরবাসিদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। অপরদিকে রান্নার যোগান দিতে চাপ বেড়েছে মাটির চুলায়। কেউ কেউ গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে।

 

কেজিডিসিএল’র বিজ্ঞপ্তির পর কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ হয়েছে। বিশেষ করে মধ্য আয়ের মানুষরা বেকায়দায়। চড়া দামে কিনতে হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল, পাইপ, রেগুলেটর এবং চুলা।

 

রবিবার (১৪ই মে) নগরীর বাটালি রোড এমন চিত্র দেখা গেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে ক্রেতারা বোতল গ্যাস কিনতে এসেছেন।

 

দেখা গেছে, কোতোয়ালি থানাধীন এনায়েতবাজারস্থ বাটালি রোড পাইকারি গ্যাস, রেগুলেটর, সিলিন্ডারের বোতল পাইকারি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চুলা। তবে আজকে পাইকারি দামে বিক্রির হিসাব চলছে না। বিক্রি চলছে দোকানিদের নির্ধারিত দামে। এমতাবস্থায় দামে বেশি এবং টাকা সংকুলান হওয়ায় কেরোসিনের দিকে ছুটছেন ক্রেতারা। সেখানে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।

 

সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার ১০৯ টাকার কেরোসিন বিক্রি হচ্ছ ১৫০ টাকায়। আবার মূল্য বেশি কেন দোকানিদের কাছ থেকে জানতে চাইলে, দোকানি বলে কেরোসিন নাই! কালো লাকড়ির ক্ষেত্রেও একই নিয়মে বিক্রি চলছে বলে জানা গেছে।

 

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে এলএনজি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও ৬/৭ দিন সময় লাগতে পারে।

 

হামজারবাগ থেকে বাটালি রোড গ্যাসের সিলিন্ডার বোতল আসা আজগর আলী বলেন, লাইনর গ্যাসত না চুলা ন জ্বলের,গ্যাসের বোতল কিনতাম আসসি’ দরে ইতারার অঙ্গে হতা হন ন যার। তারা যিয়েন হর হিয়েন, বারাবারি গইরল্লেও হাম ন অর। তুয়ানর লাই চুলা ন’জলের, গ্যাসর বোতলও ন’ফাইর, রাইন্দুম কেনে? যোগ করেন তিনি।

 

মেসার্স টি,এস এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো.শোয়েব বলেন, লাইনে গ্যাস না থাকাতে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে সবার বেচাবিক্রি বেশি।

 

আজকে দাম বেশি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পাইকারি দোকানদার। আমরা বেশি দামে বিক্রি করি না আবার কম দামেও না।

 

আন্দরকিল্লার বাসিন্দা মো. রমিজ বলেন, অন্য সময়ে কেরাসিনের চুলা ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হতো। আজকে বাধ্য হয়ে ৩৫০ টাকা দিয়ে কিনলাম।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক মুনাফার লোভে দাম বাড়িয়েছে বিক্রেতা।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

ফিচার বিভাগের আরো খবর