সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কুয়াশা ও ভোরের শিশিরে জানান দিচ্ছে শীত

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

ঋতু বৈচিত্রে শরতের শেষেই রামগঞ্জে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। মৌসুমের প্রথম ঘন ঘুকাশা নিয়ে জানান দিতে শুরু করেছে শীতের আগমন বার্তা। রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে ঋতুর পালাবদল। বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, আগমন ঘটছে উত্তরের হিমবায়ুর।

 

কুয়াশার চাদরে রামগঞ্জে পড়ছে সকালের সূর্য, শিশির বিন্দুতে ভিজে উঠছে ঘাস, গাছপালা, লতাপাতা। কেমন যেন শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে উঠছে প্রকৃতি। শরীরের ত্বকে টান পড়ছে, শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ঠোঁট। দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা কমছে উল্লেখযোগ্য হারে।

 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ২৩ অক্টোবর (সোমবার) বৃষ্টি হয় ওই দুই দিন আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের অনুভূতি হলেও পুরোপুরি আমেজ শুরু হবে নভেম্বরের শেষ দিকে। শীতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও এক মাস। দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর বর্তমানে দেড় মাসের হেমন্ত ঋতুর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।

 

বাংলা পঞ্জিকায় শেষ প্রান্তিকে কার্তিক মাস। আজ ১৩ কার্তিক। অর্থাৎ হেমন্তকাল। গ্রামবাংলায় চলছে নবান্নের প্রস্তুতি। ভোরের কুয়াশা রামগঞ্জে সূর্য বড় কোমল, নিস্তেজ। দেখা মেলে না সকাল ৬টার আগে। লেগে থাকে ঘাসে শিশির বিন্দু। ভোরে ঠান্ডা হাওয়া, দুপুরে মিষ্টি রোদ আর সন্ধ্যার কুয়াশা এখন গ্রামগঞ্জ, শহর-বন্দরে। উত্তরের বাতাসে তাপমাত্রা কমে হেমন্তেই এনে দিয়েছে শীতের বার্তা।

 

মাকড়সার জালে আটকা শিশিরমাখা ভোরের একরাশ সজীব স্বপ্ন নিয়ে প্রকৃতি এখন মানুষকে কাছে টানছে। উৎসব আর আনন্দের মধ্যে নিমগ্ন খেটে খাওয়া মানুষ। এমন সময় প্রকৃতি দূর করে শীত এনে দেয় শত কষ্টের গ্লানি। প্রতিদিন ভোর রাতে প্রচণ্ড শীত অনুভব করছেন মানুষ।

 

কোথাও কোথাও শীতের কারণে সকালে উত্তপ্ত রক্তিম সূর্যটাও নিস্তেজ দেখা যায়। গাছ-পালা, ফুলফল, সবুজ ঘাস ও ফসলের মাঠও প্রতিদিন সকালে শিশিরাসিক্ত। আবার কাক ডাকা ভোর ও সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রকৃতিকে যেন গ্রাস করছে কুয়াশার চাদর। মোট কথা উত্তরে হেমন্তের হাত ধরে আসছে শীত।

 

সকাল হাটতে আসা পথচারীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও রাত থেকেই শুরু হয় কুয়াশা পড়া। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশার গাঢ়ত্ব। সকাল অবধি থাকে এ কুয়াশা। রাত ও ভোরের এই কুয়াশা পথঘাটে দৃষ্টিসীমা হরণ করছে। ঘাস এবং ফসলের ডোগায় জমছে শিশির বিন্দু।

 

রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পোদ্দায় জানান, বর্তমান আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সন্ধিক্ষণে শীত ও গরম বিরাজ করছে। পাশাপাশি এ কারণে শিশুদের মাঝে দেখা দিচ্ছে সর্দি কাশি। তাই এ সময় অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে যাতে শিশুদের শীত গরম আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।

 

একুশে সংবাদ/ছা.হো.প্রতি/পলাশ
 

ফিচার বিভাগের আরো খবর