সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গুলিস্তান, বাংলার প্রাণ ভোমরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২১

দক্ষিণ ঢাকার ব্যবসায়ীক প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তান। এটি এমন এক জায়গা যেখানে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষের পদচারণায় মুখোরিত থাকে। সবাই যে ব্যবসায়ী তা কিন্তু নয়। সকল পেশার মানুষই চলাচল করেন এই গুলিস্তান দিয়ে। ঢাকার প্রবেশ পথের একটি দ্বার এই গুলিস্তান।

দিন কিংবা রাত যেকোন সময়ই জ্যাম লেগেই থাকে এখানে। জ্যামের কারণ ফুটপাত দখলে নিয়ে চলে হকারদের রমরমা ব্যবসা। গুলিস্তান পার হতেই মানুষের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম হয়ে যায়।

অনেকে বলে-"গুলিস্তানে যা নেই সারা বাংলাদেশে তা নেই।" কথাটি অনেকটাই সত্য। কারণ গুলিস্তানে জামা-কাপড় থেকে শুরু করে জুতা, ক্রোকারিজ, মেশিনপত্র, জার্সি, খেলাধুলার সামগ্রি সব পাইকারি খুচরা মুল্যে পাওয়া যায়। সারা দেশের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে গুলিস্তানের সাথে। কত মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে এইখান থেকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সবাই কিছু না কিছু করছেই। দিন বা রাত কখনই ঘুমাতে দেখা যায় না গুলিস্তানকে। সারাদিন বেচাকেনা হওয়ার পর রাতে চলে কারখানায় নতুন মালামাল সংগ্রহের কাজ। দিনমজুর থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস এই গুলিস্তান। 

প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় এখানে। লক্ষ লক্ষ মানুষের আনাগোনা হয় এখানে। গুলিস্তান বাদ দিয়ে যেন ঢাকাই কল্পনা করা যায় না।
গুলিস্তানের একপাশে যেমন আছে সদরঘাট, অন্য পাশে মতিঝিল, আরেক পাশে পল্টন। এসব কারনে প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে এই গুলিস্তান।
তাছাড়া ঢাকার বাইরে বা ভিতরে যাওয়ার জন্য গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া বাসস্টান্ড ব্যবহার অপরিহার্য। ঢাকার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এই গুলিস্তান। হাজার লক্ষ মানুষের কর্মের স্থান, হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের ভাগ্য এই গুলিস্তান। যে সুলভ মুল্যে এখান থেকে মানুষ জিনিসপ্ত্র কিনে তা অন্য কোথাও দেখা খুব মুশকিল। গুলিস্তানে সারক্ষণই শোনা যায়-"বাইচ্ছা লন, এক শ, যেটা খুশি সেটা লন।" 

ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দর কষাকষি চলতেই থাকে। জীবন চলমান তেমনি জীবনের সাথে এগিয়ে চলেছে গুলিস্তানের নাম ডাক। আরো পরিণত হবে ভবিষ্যতে বাংলার এই প্রাণ ভোমরা, গুলিস্তান।

একুশে সংবাদ/এ/আ

ফিচার বিভাগের আরো খবর