এর পরে সাজিদ কাঁদতে শুরু করেন। বাবার কথা বলতে থাকেন। ভাগ করে নেন যন্ত্রণার অতীত। তাঁর কথায়, “বাবা যখন চলে গিয়েছিল, আমার ১৪ বছর বয়স। আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর্থিক সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু আমায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরকে দিয়ে বলে পাঠিয়েছে, তারা বাড়ি নেই। আমি চলে এসেছি কাঁদতে কাঁদতে, কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমার মায়ের তরফের আত্মীয়রা সাহায্য করেছিল। তাতেই শেষবিদায় দিতে পেরেছিলাম বাবাকে।”
সাজিদ আরও বলেন, “চোখের সামনে বাবাকে শেষ হয়ে যেতে দেখেছি অতিরিক্ত মদ খাওয়ার জন্য। যকৃৎ ফেটে গিয়েছিল বাবার। চোখ-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছিল। যিনি একমাত্র সে সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি সালমান খানের বাবা, সালিম।”
সাজিদ জানান, সালিম এসে কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন হাতে। তাই দিয়ে দু’মাস খাবার কেনেন আর বিদ্যুতের বিল মেটান তিনি।
একুশে সংবাদ/ আ.বা/ রখ