সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পাকিস্তানে ধরা পড়লো নকল ঐশ্বরিয়া!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

প্রথম দৃষ্টিতে ধাঁধাঁ লেগে যাবে? আসল কে, আর কে নকল ? এত মিল হতে পারে মানুষে মানুষে। নিখুত দৃষ্টিতে না তাকালে ধরার কোন উপায়ই নেই প্রকৃত সত্য কী!

ভারতের বিনোদনভিত্তিক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের খবর– হুবহু ঐশ্বরিয়ার মতো দেখতে পাকিস্তানি এ তরুণীর নাম আমনা ইমরান; তাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো, যা অন্তর্জালে ঝড় তুলেছে।

গণমাধ্যমের খবরে নতুন ঐশ্বরিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে– তিনি একজন বিউটি ব্লগার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় তিনি। আমনা বেশ কিছু ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ‘এ দিল হ্যায় মুশকিল’, ‘দেবদাস’ ও ‘মহাব্বতেইন’ সিনেমার দৃশ্য সংযুক্ত করা হয়েছে।

অবশ্য ঐশ্বরিয়ার মতো দেখতে বেশ কয়েকজন এর আগেও আলোচনায় এসেছিলেন। তাদের মধ্যে মানসী নায়েক, অম্মুজ অম্রুতা ও মাহলাঘা জাবেরি অন্যতম।  এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো আমনা ইমরানের নাম।

পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ কোটির মত মানুষ আছে। একেকজন এর সাথে একেকজনের চেহারার যেমন মিল নাই তেমনি আচার আচারণেও । তবে এমন কথা প্রায়ই বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে একই চেহারার প্রত্যেক মানুষের ৬ জন অনুরূপ মানুষ আছে! এমন হওয়া বা ঘটার সম্ভাবনা আসলে কতটুকু?

আসলে আমাদের চেহারা, আচার আচারণ নির্ভর করে বাবা মায়েদের থেকে প্রাপ্ত আচরণের এর মাধ্যমে। যা শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়। পুরুষের শরীরে ৮ মিলিয়ন ধরণের শুক্রানু ও নারীর শরীরে ৮ মিলিয়ন ধরনের ডিম্বানু তৈরী হতে পারে। যে কোন একটি শুক্রানু যে কোন একটি ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে বাচ্চার জন্ম দেয়।

এখন একজন পুরুষের ৮ মিলিয়ন শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ৮মিলিয়ন ডিম্বাণু মিলে ৬৪ট্রিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন চেহারার বাচ্চা জন্মদিতে পারবে (যদি না জমজ না হয়)। তবে প্রত্যেকের চেহারাতেই তার মা, বাবা, নানা, নানী, দাদা ও দাদীর চেহারার কম-বেশি ছাপ থাকবে।

প্রতিটা মানুষের ডি.এন.এ ২৩ টি টুকরাতে বিভক্ত। এই প্রতিটা টুকরোকে বলা হয় এক একটা "ক্রোমোসম"। একটা মানুষ দেখতে কেমন হবে, এই সব তথ্য রাখা থাকে তার ডি.এন.এ এর মধ্যে। প্রতিটা ক্রোমোসম আবার ২ কপি করে থাকে, এক কপি সে পায় তার বাবার কাছ থেকে আর আরেক কপি পায় তার মায়ের কাছ থেকে। অর্থাৎ, মানুষের শরীরে ২৩ জোড়া ক্রোমোসম থাকে, প্রত্যেক জোড়ার ১টা আসে মায়ের কাছ থেকে, আরেকটা আসে বাবার কাছ থেকে। পুরুষের শরীর হতে যখন শুক্রানু বা নারীর শরীর হতে ডিম্বানু তৈরী হয়, তখন প্রতি জোড়া ক্রোমোসম নিজেদের মধ্যে কিছু অংশ বিনিময় করে নতুন কম্বিনেশনের এক জোড়া ক্রোমোসম তৈরী করে। এই জেনেটিক ওভার ক্রসিং এর কারনেই চেহারা, আচার আচারণের ভিন্নতা তৈরি হয়। তাই বলা যায় পৃথিবীতে একই চেহারার ৬ জন তো নয়ই, দুইজন মানুষ থাকা পার্সেন্টজ হিসাবে শূন্যই বলা যায়।


একুশে সংবাদ/য/আ

বিনোদন বিভাগের আরো খবর