সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হৃত্বিক-কঙ্গনা বিরোধে হৃত্বিককে পুলিশের তলব

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

২০১৬ সালে, হৃত্বিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কে বা কারা তাঁর নাম ব্যবহার করে কোন ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে কঙ্গনাকে ই-মেইল করতেন। যদিও কঙ্গনা রানাউত দাবি করেছিলেন, ওই ই-মেইল আইডি-টি হৃত্বিক নিজেই ২০১৪ সালে তাঁকে দিয়েছিলেন। ২০১৩-১৪ সালেও তাঁর ও কঙ্গনার মধ্যে ওই একই আইডি থেকে ই-মেইল চালাচালি হয়েছিল। ২০১৬ সালে কঙ্গনা হৃত্বিককে 'Silly Ex' (বোকা প্রাক্তন) বলে কটাক্ষ করেন। যাতে অভিনেত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন হৃত্বিক। কঙ্গনার সঙ্গে কোন রকম সম্পর্কে থাকার কথাও অস্বীকার করেছিলেন তিনি। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ক্রাইম ইনটেলিজেন্স ইউনিট।

আর তাই সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনকে ডেকে পাঠাল মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের 'ক্রাইম ইনটেলিজেন্স ইউনিট'। ২৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ হৃত্বিককে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালে ইমেল কাণ্ড মুম্বাই পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হৃত্বিক রোশন। সেই মামলাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং বয়ান রেকর্ড করা হবে। 

প্রসঙ্গত, কঙ্গনা-হৃত্বিক একে অপরের সঙ্গে ২০১০ সালে 'কাইটস' ২০১৩ সালে 'কৃষ-৩'তে অভিনয় করেন। তখনই তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত বলে দাবি করেছিলেন কঙ্গনা। হৃত্বিক ১০১৬তে অভিযোগ করেছিলেন, কঙ্গনা তাঁকে ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে ১৪৩৯টি অদ্ভুত ইমেল পাঠাতেন, যাতে তাঁর উপর মানসিক চাপ তৈরি হয়। যদিও কঙ্গনা তা অস্বীকার করেছিলেন।

সেসময় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে সাইবার সেলে মামলা রুজু হয়। সেসময়ই তদন্তের জন্য হৃত্বিকের ফোন, ল্যাপটপ সবকিছু বাজেয়াপ্ত করেছিল সাইবার সেল। পরবর্তীকালে সেই মামলা মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ইনটেলিজেন্স ইউনিটে স্থানান্তরিত হয়।


একুশে সংবাদ/জ/আ

বিনোদন বিভাগের আরো খবর