সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঘাটাইলে বিদ্যালয় ঘেঁষে কারখানা, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ২৭ জুন, ২০২২

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় আঠারোদানা বাদেপার্শী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে ধলেশ্বরী অ্যাগ্রো ফুড মিলস নামে একটি কারখানা স্থাপন করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে ঐ স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী।

 

সোমবার (২৭ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলার আঠারোদানা বাদেপার্শী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। এ সময় প্রায় এক ঘন্টা মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন আঠারোদানা বাদেপার্শী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য আনোয়ারুল কবির সোহেল,দিঘলকান্দী ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম,দিগড় সাবেক ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতি, গ্রামবাসীর পক্ষে মানিক, মহসনি, মোতালেব প্রমুখ।

 

জানা যায়, এলাকাবাসী কারখানাটির নির্মাণকাজ বন্ধ করতে গত ৭ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিয়া চৌধুরীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু তার পরও থেমে নেই নির্মাণকাজ। উপজেলার সাত গ্রামের চার শতাধিক মানুষের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের আঠারোদানা মৌজায় ৯২ শতাংশ জমির ওপর ধলেশ্বরী অ্যাগ্রো ফুড মিলস নামের এ কারখানাটি স্থাপন করা হচ্ছে।

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মাণাধীন কারখানা ঘেঁষেই রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জমিটি তিন ফসলি, এলাকাটিও ঘনবসতিপূর্ণ। তাদের দাবি, ওই জমিতে কারখানা স্থাপিত হলে শুধু কৃষিজমিই নষ্ট হবে না, একই সঙ্গে পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে। শব্দ ও পরিবেশদূষণের ফলে ব্যাহত হবে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান।

 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধলেশ্বরী অ্যাগ্রো ফুড মিলস নামের কারখানাটি অটোমেটিক চালের মিল (বৃহৎ চাতালকল)। এই কারখানায় প্রতিদিন ৭০ টন করে চাল উৎপাদন করা যাবে। কারখানাটি স্থাপিত হলে এর দূষিত পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। কারখানার ধুলাবালি, ছাই ও চাল ছাঁটাইয়ের কুড়া উড়ে স্কুলসহ আশপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়বে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।

 

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আঠারোদানা গ্রামের আনোয়ারুল কবির সোহেল (৪৫) বলেন, ‘শিশুদের লেখাপড়ার জন্য নিরিবিলি পরিবেশ দরকার। কারখানাটি স্থাপিত হলে সেই পরিবেশ বিদ্যালয়ে আর থাকবে না। এ কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাবে।

 

 তিনি আরও বলেন, ‘অনেক অভিভাবকই তাঁদের ছেলে-মেয়েদের অন্যত্র ভর্তি করানোর চিন্তা-ভাবনা করছেন। ’

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, ‘কারখানার কারণে পাঠদানে বিঘ্ন  ঘটবে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ’

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিয়া চেীধুরী জানান,“যেহেতু পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র প্রদান করেছে তাই আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই”।

একুশে সংবাদ.কম/জ.ন.জা.হা

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর