সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে রেকর্ড আইসক্রিমেরও

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪

এবার তীব্র তাপদাহে আইসক্রিমের চাহিদা বাড়িয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। এক মাসেই বাজারে চাহিদা ছিলো হাজার কোটি টাকার আইসক্রিমের। তবে, বাড়তি চাহিদার সবটুকু পূরণ করতে পারেনি দেশের আইসক্রিম উৎপাদকরা। কারণ বৈদ্যুতিক গোলযোগ, কাঁচামাল না পাওয়া ও আমদানি সংকট।

গরম যত বেশি, ততো বেশি চাহিদা বাড়ে আইসক্রিমের। এবছর মার্চ মাসে চাহিদা না থাকলেও এপ্রিলেই আইসক্রিমের চাহিদায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। অন্য সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে চাহিদা। দেশের সব আইসক্রিম উৎপাদকই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেয়েছে। ফলে ঘাটতি ছিলো আইসক্রিমের সরবরাহে।

শুধু দেশি উৎপাদকেরাই নয়, আইসক্রিমের বিদেশি ব্রান্ড প্রতিষ্ঠানগুলোতে এবার বিক্রি ছিল বেশ। সম্প্রতি বেইলি রোডে চালু হওয়া সুইস ব্রান্ড মুভএনপিক বাংলাদেশে এর ফ্র্যাঞ্চাইজি চালু হতে না হতেই পেয়ে যায় হিট ওয়েভ। আর শুরুতেই বিক্রিতে বাজিমাত।

দোসা এক্সপ্রেসের স্বত্বাধিকারী মাহদীন তারিক জানান, ‘আগে কখনও এমন গরম পড়েনি। এবার যে ধরনের গরম পড়েছে, তাতে আইসক্রিমের চাহিদা অনেক বেশি ছিলো।’

আইসক্রিমের এমন চাহিদার কথা মাথায় রেখে কোন কোন প্রতিষ্ঠান আবার আয়োজন করে আইসক্রিম ফেস্টিভাল। সেখানে আনলিমিটেড আইসক্রিম খাওয়ার সুযোগ লুফে নেন ক্রেতারাও।

আইসক্রিম ফেস্টিভালে এক অংশগ্রহণকারী জানালেন, ‘যে গরম পড়েছে, তাতে আইসক্রিমটা খুব জমে।’

তবে উৎপাদকরা বলছেন বিক্রির তুলনায় বাড়েনি মুনাফা। ইগলুর জেনারেল ম্যানেজার মাজেদুল হক জানালেন, ‘ডলারের দামবৃদ্ধির ফলে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, কোল্ড চেইন মেইনটেইনিং কস্ট বৃদ্ধির পরেও দাম বাড়েনি আইসক্রিমের। ফলে উৎপাদকদের লাভের পরিমাণ কমেছে।’

তবে, আকস্মিক এমন অস্বাভাবিক বিক্রি বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে বড় বিনিয়োগও সম্ভব নয় বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের হিসেবে এবার গরমে আইসক্রিমের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার যেখানে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো মেটাতে পেরেছে ৮০০ কোটি টাকার মতো।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর