সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ওয়ালটন এসি কিনে ৩৪তম মিলিয়নিয়ার হলেন গাজীপুরের আব্দুল আলী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট ওয়ালটনের দেশব্যাপী চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’-এর আওতায় এবার এয়ারকন্ডিশনার কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আলী। মাত্র ১৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তিতে এসি কিনে তিনি পেলেন নগদ ১০ লাখ টাকা। এ নিয়ে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন গ্রাহক।

বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী বাজারের ওয়ালটন প্লাজার সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিলিয়নিয়ার আব্দুল আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক আমিন খান এবং বাংলা চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

জানা গেছে, দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০-এর আওতায় ‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফরম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এ ছাড়া রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

এরই আওতায় চলতি মাসের ২১ তারিখে রাজাবাড়ী বাজারের ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৭৬ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের ১ দশমিক ৫ টনের একটি এসি কিস্তিতে কেনেন আব্দুল আলী। এসি কেনার পর তার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং কেনা পণ্যের মডেল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার ম্যাসেজ যায়। এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় মহাখুশি আব্দুল আলী।

অনুষ্ঠানে আব্দুল আলী বলেন, প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মেয়ের রুমে ব্যবহারের জন্য একটি এসি কিনেছি। বাসায় অধিকাংশ পণ্যই ওয়ালটন থেকে নেওয়া। এসব পণ্য খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এই ভরসায় এবার এসিও কিনেছি ওয়ালটনের। তবে ওয়ালটনের এসি কিনে যে ১০ লাখ টাকা পাব, তা কোনো দিন কল্পনাও করিনি। ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকা এলাকার মসজিদের উন্নয়নে কাজে লাগাব।

অনুষ্ঠানে সবাইকে ওয়ালটনের পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশের পণ্য। ওয়ালটন স্বনামধন্য ব্র্যান্ড। সারা দেশে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি, এসি, মোবাইল ফোনসহ সব পণ্যেরই গুণগত মান খুবই উন্নত। আমি ওয়ালটনের সঙ্গে আছি, আপনারাও থাকুন। এখন পর্যন্ত ৩৪ জন মানুষকে তারা মিলিয়নিয়ার বানিয়েছে। এই দিয়ে সহজেই বোঝা যায় তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন মুখে যা বলে তা-ই করে। অনেক ব্র্যান্ড গ্রাহককে দেওয়া প্রতিশ্রুত রাখে না, কিন্তু ওয়ালটন গ্রাহকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে। দেশে উৎপাদিত পণ্য কিনলে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের মুখ উজ্জ্বল হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের শ্রীপুর থানা কমিটির সভাপতি মো. কমরুদ্দীন, ওয়ালটনের সিনিয়র অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর শাহাদৎ হোসেন, সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর সালেহ আহমেদ, ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার আজিজুর রহমান, ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
 

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর