জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গত ১৫ দিনে ৫৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে ইভ্যালি। এই টাকা দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। তিনি বলেন, ব্যবসা করতে পারলে দেনা পরিশোধে কোন সমস্যা হবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে `ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তার অধিকার, আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এমন আশার খবর দেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
এসময় মোহাম্মদ রাসেল ভোক্তা-অধিকারের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হলেও পরে ভোক্তার মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান এর উদ্যোগে তাকে মুক্ত করা হয় এবং তিনি ৪০০ কোটির মধ্যে ৩৮০ কোটি টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, মালিকপক্ষকে জেলে রাখলে গ্রাহকদের তথ্য পাওয়া যাবে না। আর গ্রাহকদের তথ্য পাওয়া না গেলে টাকা ফেরত পাবে না গ্রাহকরা।’
এসময় তিনি দাবি করেন, ইভ্যালি গ্রাহকদের সব টাকা ফেরত দিবে। কিন্তু তাকে হয়রানি ও চাপ প্রয়োগ করলে তিনি তা দিতে পারবেন না।
মোহাম্মদ রাসেল জানান, ২৯ ডিসেম্বর তিনি জেল থেকে বাইরে আসার পর থেকে ইভ্যালি ৫৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। ব্যবসা করতে পারলে পাওনা পরিশোধে কোন সমস্যা হবে না।
রাসেল আরও জানান, গ্রাহক এবং মার্চেন্ট মিলে আনুমানিক পাঁচশ কোটি টাকা দেনা রয়েছে। এরমধ্যে গ্রাহকরা ৩৫০ কোটি আর মার্চেন্টরা পাবেন ১৫০ কোটি টাকা। সবার পাওনাই পরিশোধ করা হবে। সম্পূর্ণ দেনা শোধ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা