সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ডিম-মুরগির বাজারে অস্বস্তি: অভিযোগের আঙ্গুল কর্পোরেট সিন্ডিকেটের দিকে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডিম ও মুরগি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। ৪ কোটি ডিমের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৫ কোটি। পোল্ট্রি শিল্পে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত ৫০-৬০ লাখ উদ্যোক্তা। কর্মসংস্থান রক্ষার তাগিদে ডিম আমদানি বন্ধ করতে হবে এবং প্রান্তিক খামারিদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা এবং উৎপাদন খরচ কমিয়ে মূল্য কমানো সম্ভব।

 

এ অবস্থায় ডিম-মুরগির বাজারে অস্বস্তিতে অভিযোগের আঙ্গুল কর্পোরেট সিন্ডিকেটের দিকে। ডিম আমদানি বন্ধ করে বরং ডিম ও মুরগি রপ্তানির সময় হয়েছে আমাদের। ডিম আমদানি করলেই সিন্ডিকেট ভাঙবে না। করপোরেট সিন্ডিকেট ভেঙে মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি ফিডের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা হেলে ডিম ও মুরগির বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ)। 

 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের  সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বাজারের ৮০ শতাংশের চাহিদা প্রান্তিক খামারিরা পূরণ করে থাকে। ডিম আমদানি করলে সিন্ডিকেট ভাঙবে না। বাজার তদারকিতে ডিমের সিন্ডিকেট মুরগির বাচ্চার ওপর ভর করেছে। ডিম আমদানি না করে ডিম রপ্তানি করতে পারি। আমাদের সেই পরিমাণ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।

 

ভারতে মুরগি ও ডিমের দাম কম। কারণ ভারতে ৫০ কেজির ১ বস্তা ব্রয়লার ফিডের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭০০ টাকা, ১ বস্তা লেয়ার ফিডের দাম ১৮৭৫ টাকা, ১টি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার মূল্য ২৮ টাকা, ১টি লেয়ার বাচ্চার মূল্য ২৫-৩০ টাকা। তাই একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ৫ থেকে ৬ টাকা। তাদের বাজারে একটি ডিম বিক্রি হয় ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকা।

 

কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে ১ বস্তা ব্রয়লার ফিডের দাম ৩৫০০ টাকা। ৫০ কেজি ১ বস্তা লেয়ার ফিডের মূল্য ২৯০০ টাকা। একটি ব্রয়লার বাচ্চার মূল্য ৫০-৬০ টাকা, একটি লেয়ার বাচ্চার মূল্য ৭০-৭৫ টাকা। বাংলাদেশে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা থেকে ১১ টাকা। বাচ্চার দাম ৩৫ টাকা ধরে ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৬৭ টাকা।

 

মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে গেলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় মন্তব্য করে সুমন হাওলাদার বলেন, ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ। এক্ষেত্রে সরকারের তদারকির মাধ্যমে সমস্যা বের করে সমাধানের ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর