সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাড়তি দামে চিনি, বেড়েছে সবজি ও ডিমের দাম

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

বাজারে দাম বেড়েছে সবজি, ডিমের। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে চিনি। এছাড়া মসলাসহ আদা-রসুন ও শুকনো মরিচের দামেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। শুধুমাত্র কমেছে আটার দাম।

 

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

 

বাজারে দাম বেড়েছে  শীতকালীন সবজির। আকার ভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ১০০-১১০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০-১০০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি। এছাড়া বাজারে কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। বাজারে আলুর কেজি এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

 

দাম বাড়ার বিষয়ে সবজি বিক্রেতারা বলেন, বাজারে সবজির দাম উঠা-নামার মধ্যে থাকে। এ সপ্তাহে সবজির দাম বেড়েছে। সাধারণত শীতের মৌসুম শেষের দিকে সবজির দাম কম থাকে। কিন্তু উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।  

 

দাম বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ডজন বিক্রি হত ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

 

বিক্রেতার বলছেন, ডিমের উৎপাদন কম থাকায় দাম বেড়েছে।

 

আসছে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে চিনি দাম বাড়ার কথা থাকলেও বাজারে এখনি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এখনি বাড়তি দামে চিনি বিক্রি শুরু করেছেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকার কমে মিলছে না।

 

কাওরান বাজারের চিনি বিক্রেতা আকরাম হোসেন বলেন, নির্ধারিত দামে আগেও চিনি বিক্রি হয়নি এখনও হচ্ছে না। নতুন করে দাম বাড়ার ঘোষণার পর সরবরাহ কমে গেছে। আমরা বুঝতে পরছি না পরিস্থিতি কোথায় যাবে। সরকার কঠিনভাবে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছে না। ফলে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

 

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এদিকে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। মসলার বাজারে দাম বেড়েছে রসুনের। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়। দেশি আদা ১২০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা।  

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারিতে আমদানি করা ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৭০ টাকায়। আর মিয়ানমার থেকে আমদানি করা মরিচ কেজি প্রতি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

প্রায় বেশিরভাগ পণ্যের দর বৃদ্ধির মধ্যে বাজারে কমেছে কেবল আটার দাম।

 

খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আগে কেজির প্যাকেট ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা।

 

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

 

বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা।  লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

 

মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে কম দামি মাছ পাঙাশ ও তেলাপিয়া। গরুর মাংসের কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে থাকলেও খাসির মাংসের দাম কিছু জায়গায় ১০০ টাকা বাড়তিতে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আগের দামেই রয়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়।

 

রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজারের ক্রেতা হারুন অর-রশিদ বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। বাড়তি দামের কারণে মাছ-মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। সবজি ও ডিম বেশি খাই। এখন এসব পণ্যেরও দাম বাড়ছে। সাথে সংসার চালাতে কষ্টটাও বেড়ে গেল।

 

একুশে সংবাদ/এপি

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর