সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

চিনির কেজি ৭৫-৮০ টাকা রাখার সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২৫ পিএম, ২৫ আগস্ট, ২০২১

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে চিনির কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।


মে মাসের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা, পাম সুপার তেল ১১২ টাকা এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৭২৮ টাকা। আর এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়ছে। গত এক মাসে খুচরা বাজারে চিনির দাম অন্তত ১২ শতাংশ বেড়ে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, চিনির খুচরা মূল্য আপাতত ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যেই থাকবে বলে আলোচনা হয়েছে।

উক্ত বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। এটি ছিল এই বছরের প্রথম বৈঠক, তাই ওইভাবে কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। উনারাও এই বিষয়ে আমাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আগে যেটা নির্ধারণ করা হয়েছিল সেটাই থাকবে। অগাস্ট মাস শোকের মাস বিবেচনায় এই মাসেই নতুন করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ালেও সেটা পরে বিবেচনা করা হবে।

বাণিজ্য সচিব বলেন, আমাদের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই, সরবরাহ যথেষ্ট পরিমান আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের যে বার্ষিক চাহিদা তার থেকেও বেশি সরবরাহ আছে আমাদের। কিন্তু অনেকগুলো পণ্য আমদানি নির্ভর, তাই আমদানি মূল্য বৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে যাতে স্থানীয়ভাবে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুত করা না করা হয় সে উদ্দেশ্যে আজকে আমরা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে ডেকেছি। সবখাতের ব্যবসায়ীরা এখানে এসেছেন। তারা আজকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমদানি মূল্য যেটা বাড়বে সেই অনুযায়ী হিসাব করে যতটুকু বৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ বাজারে হওয়া উচিত সেটুকুই তারা করবেন বলে জানান তিনি।

এই সময় বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে কেউ যদি অন্যায়ভাবে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের কষ্ট দেন বা অতি মুনাফা করেন, মজুত করে রাখেন সে ক্ষেত্রে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মোবাইল কোর্ট, ভোক্তা অধিকার কমিশনসহ যারা আছেন তারাও সর্বত্র সতর্ক থাকবেন ও আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এই মহামারি করোনাকালে মানুষের প্রশান্তির জন্য যা যা করা দরকার সরকার সেই ব্যবস্থা নেবেন। সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বয় আমরা যদি সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে পারি তাহলে আমাদের যেহেতু সরবরাহে ঘাটতি নেই, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আছে তাই দ্রব্যমূল্য অবশ্যই স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

একুশে সংবাদ/রাফি

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর