সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পহেলা ফাল্গুন-ভালোবাসা দিবস : জমে উঠেছে ফুলের বাজার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ফুলের বাজার।মাঠপর্যায়ে চাষি থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা ফুলের বাজার এখন চাঙা।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর ফুলের বাজার মুখ থুবড়ে পড়লেও এবার পয়লা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ব্যবসার আশা করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়া আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুলের বাজার চাঙা থাকবে। প্রতি বছরই দিসবগুলোতে অন্যতম অনুষঙ্গ হিসাবে থাকে ফুল। এ সময় ফুলের চাহিদা সারা বছরের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। 

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার (ফুল) সোসাইটি সূত্রে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দেশে ফুলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এ কারণে বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কৃষক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দেশে ২০০-২৫০ কোটি টাকার ফুলের বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মাঠপর্যায়ে যশোরের গদখালি ও সাভারের সাদুল্লাহপুরসহ কয়েকটি স্থানে ৮০-৯০ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। বাকিটা হবে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য স্থানে।

বর্তমানে দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ বেশি হওয়ায় এবং আমদানি করায় বাহারি রঙের ফুল পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে জারবেরা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, কসমস, ডালিয়া, টিউলিপ, কালো গোলাপ, ঝুমকা লতা, গাজানিয়া, পামেরিয়া, চন্দ্রমল্লিকা অন্যতম। দামও হাতের নাগালে। কিন্তু এই বিশেষ দিনগুলোয় চাহিদা বেশি থাকায় অতি মুনাফার লোভে বেশি দামে ফুল বিক্রি করেন অনেক ব্যবসায়ী।


শাহবাগে একটি গোলাপ পাঁচ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জারবেরা ১৫-২০ টাকা, গাডিওলাস ১০-১৮ টাকা ও রজনীগন্ধা ৬-৮ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে। এ ছাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার গাঁদাফুল। তবে খুচরা বাজারে একই ফুল বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ফাল্গুনের দিন তাদের কাছে ভিন্ন। প্রতি বছর এ মৌসুমে ফুলের ব্যবসা ভাল হলেও এ বছর করোনার কারণে ক্রেতা সংকট আছে। তাই আয়োজন অন্যবারের চেয়ে কম। তবুও প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখছেন না তারা।


একুশে সংবাদ/ য /এস
 

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর