সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আটকের পর জানা গেল তিনি চিকিৎসকই নন!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

নীলক্ষেত থেকে অ্যাপ্রোন ও মিটফোর্ড থেকে স্টেথোস্কোপ কিনে নেন মুনিয়া খান রোজা (২৫)। এরপর ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যান। অ্যাপ্রোন পরে চিকিৎসদের কক্ষে ঢুকে সুযোগ পেলে মোবাইল অন্যান্য সামগ্রী চুরি করেন। শনিবার এমনই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে মুনিয়া কোনো চিকিৎসকই নন।

শনিবার ( ২৩ ডিসেম্বর)  রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনে (আইসিইউ) এর সামনে ঘোরাফেরা করার সময় নতুন ভবনের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যে এপিসি জামানের নজরে আসে, এরপর থেকে তাকে  ফলো করতে থাকে। ভুয়া চিকিৎসক মুনিয়াকে, পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে আটক করে পুরাতন ভবনের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

মুনিয়া প্রথমে নিজেকে এমবিএস গাইনি চিকিৎসক হিসেবে দাবি করেন। তিনি ২০২০ সালে সুত্রাপুর এর ন্যাশনাল হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস গাইনি বিভাগ নিয়ে পাশ করেন বলে তিনি জানান এবং দুই মাস আগে ঢাকা মেডিকেল গাইনি ওয়ার্ডে যোগদান করেন। পরে রাত বারোটার দিকে প্রশাসনের চাপে পড়ে সত্য প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যান।

মুনিয়া আরও বলেন,  আমি ভয়ে প্রথমে বলেছিলাম- আমি ঢাকা মেডিকেলের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। কিন্তু আমার ভুল আমি বুঝতে পেরেছি। সত্যিকার অর্থে আমি কোনো চিকিৎসক না। আমি নীলক্ষেত থেকে ৫৫০ টাকা দিয়ে অ্যাপ্রন কিনি এবং ২০০ টাকা দিয়ে আইডি কার্ড তৈরি করি যার নং h -126। আমি ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি  হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাই। এ ছাড়া অ্যাপ্রন পরে ডাক্তারদের অগোচরে রুমে ঢুকে তাদের মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী হাতিয়ে নেই।

এদিকে, আটকের পর নিজের ভুল স্বীকার করে এবারের মত ক্ষমা করে দিতে বলেন তিনি, বলেন, আমি আর জীবনে এ ধরনের কাজ করব না।

পরে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য পিসি উজ্জ্বল বেপারী ও এপিসি জামান ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো: বাচ্চু মিয়ার কাছে ভুয়া চিকিৎসক মুনিয়াকে হস্তান্তর করা হয়।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, অভিযুক্ত ভুয়া নারী চিকিৎসককে নারী আনসার সদস্যদের পাহারায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে তারাই ব্যবস্থা নিবেন।

মুনিয়া খান রোজা

ঢাকা মেডিকেলের আনসার প্লাটন কমান্ডার (পিসি) মো. উজ্জ্বল ব্যাপারী বলেন, মেডিকেলের নতুন ভবনের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে এক নারীকে সন্দেহ হলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে আটক করি। তিনি চিকিৎসক সেজে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মোবাইলসহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে থাকেন বলে আমাদের ধারণা।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

একুশে সংবাদ/এসআর

অপরাধ বিভাগের আরো খবর