ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রন টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিরল প্রজাতীর প্রাণী তক্ষক ক্রয়-বিক্রয়কারী সংঘবদ্ধ চক্রের ৫ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে আজ বেলা ১২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন,
গত ১৯/০৪/২০২২ তারিখ রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুর এলাকা ও গাজীপুর জেলার পুবাইল থানা এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব এইচ এম আজিমুল হক এর নিদের্শনায় ও সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব নাজিয়া ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করে এই চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের নাম- ১। সোয়েম আহম্মেদ @ সোহেল (৩৯), ২। মোঃ এনামুল হক (২৮), ৩। মোঃ হোসেন আলী (২৪), ৪। মোঃ মিজানুর রহমান (৩০), ও ৫। মোঃ মামুন মিয়া (৩৮)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ১টি গামছা, ১টি প্লাস্টিকের লাঠি, নাইলন রশি, ১টি ওয়াকিটকি ও ১ টি এন্টেনাযুক্ত ল্যান্ডফোন জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত সোয়েম আহম্মেদের গাজীপুর জেলার পুবাইল থানাধীন পুবাইল কলেজ রেইলগেইট বাধন সড়কে কথিত আন্তজার্তিক মানবাধিকার গোয়েন্দা সংবাদ সোসাইটি নামে একটি অফিস আছে। সোয়েম উক্ত অফিসে যুগ্ম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। সোয়েম আহম্মেদ কথিত মানবাধিকার অফিস পরিচালনার আড়ালে উক্ত অফিসকে প্রতারণার আঁতুড়ঘর এবং একটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতো। গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের নিকট তক্ষক বিক্রি করার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সোয়েম আহম্মেদের অফিসে নিয়ে আসতো এবং প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে তক্ষক ক্রয় করতে বাধ্য করতো। ভিকটিম তক্ষক ক্রয় করতে অস্বীকার করিলে গ্রেফতারকৃতরা তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকটে থাকা নগদ টাকা জোর পূর্বক আদায় করতো এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করতো। দাবিকৃত টাকা না দিলে তারা ভিকটিমদের র্যাব দিয়ে ধরিয়ে দিবে বলে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতো।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রতারণাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
একুশে সংবাদ /এসএম