রাজধানীর মতিঝিলে খুনের ঘটনায় দুই দিনেই রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)র মতিঝিল থানা পুলিশ।
গতকাল তাকে গ্রেফতার করে আজ ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রেরন করা হয়।গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম ফাহিম।
থানায় রুজু হওয়া খুন মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০:৫০ টায় টহল পুলিশ পথচারীর মাধ্যমে ৩৮ উত্তর কমলাপুরের পেন্টাগন হোটেলের সামনে গুরুত্বর জখমপ্রাপ্ত এক যুবককে উদ্ধার করে। টহল পুলিশ ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১১:৪২টায় ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই যুবকের (ভিকটিমের) নাম জানা যায়। ভিকটিমের নাম হৃদয় ওরফে আলিফ।
পরবর্তীতে হৃদয়ের মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় একটি খুন মামলা রুজু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাস্থল পেন্টাগন হোটেলের আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, খুন হওয়া ভিকটিম হৃদয় অত্র এলাকায় ভাসমান। একটি মোবাইলকে কেন্দ্র করে ভিকটিম হৃদয়ের সাথে ফাহিম নামের আরেক যুবকের ঝগড়া ও মারামারি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফাহিম কেঁচি দিয়ে হৃদয়ের বুকে আঘাত করে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মতিঝিলের যুগান্তর গলি থেকে ফাহিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার দেয়া তথ্য মতে, মতিঝিলের সিরাজ ভবনের পাশে ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত কেঁচি ও ফাহিমের গায়ে থাকা রক্তমাখা টি-শার্ট।
একুশে সংবাদ/ডি.নি/মু