সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মান্দায় গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪

নওগাঁর মান্দায় একটি গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। 

শুক্রবার (১০ মে) বেলা ১১ টায় উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের পার-কুলিহার গ্রামের শাহানাপাড়ায় ভূক্তভোগী অপারেটর বেলাল হোসেনের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


এসময় স্থানীয় কৃষক আলহাজ্ব কাউছার রহমান শাহানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অপারেটর বেলাল হোসেন, বুলবুল হোসেন,আব্দুস সামাদ,মোত্তালেব হোসেন এবং দুলাল হোসেন প্রমূখ।


বক্তারা বলেন, ভূক্তভোগী বেলাল হোসেন প্রায় ১০ বছর যাবৎ পার-কুলিহার গ্রামের শাহানাপাড়ায় বিলের মধ্যে অবস্থিত বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর গভীর নলকূপের অপারেটরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ, রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে চলতি বোরো মৌসুমে নিয়ম বহির্র্ভূতভাবে বেশি সেচচার্জ আদায় করে কৃষকগণের অর্থ আত্মসাৎকরণ করা প্রসঙ্গে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল গভীর নলকূপটি দখলে নেওয়ার পর প্রতিপক্ষের লোকজনকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে রব্বেল নামে এক ব্যাক্তি বরেন্দ্র মান্দা উপজেলা বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর সহকারী প্রকৌশলী এস.এম মিজানুর রহমান কর্তৃক গত ৫ মে ভূক্তভোগী বেলাল হোসেন বরাবর উদ্দেশ্যপ্রণোদিভাবে একটি একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন নোটিশ করেন। পরবর্তীতে ওই নোটিশের প্রেক্ষিতে বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী এস.এম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্নধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অপারেটর বেলাল হোসেনের কাছ থেকে গভীর নলকূপের ঘরের চাবি নিয়ে নেন। বর্তমানে গভীর নলকূপের সেচ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে তাদের অন্তত ৩০-৪০ বিঘা জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী এস.এম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাকে পরিবর্তনের দাবি জানান গ্রামের কৃষকেরা।


এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে রব্বেল বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে নিয়ম বহির্র্ভূতভাবে বেশি সেচচার্জ আদায় করে কৃষকগণের অর্থ আত্মসাৎ করায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মান্দা উপজেলা বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে অপারেটর বেলালের কাছ থেকে গভীর নলকূপের ঘরের চাবি নিয়ে নেন।  বর্তমানে গভীর নলকূপের সেচ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে,রাজনৈতিক মতবিরোধের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।


এ ব্যাপারে জানার জন্য মান্দা উপজেলা বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী এস.এম মিজানুর রহমানের (০১৭১০-৫১৭১১৯) মুঠোফেনে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর