সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ভৈরবে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু‍‍`পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫৬

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ৮ মে, ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে জিল্লুর রহমান স্কুল এ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি ও বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে তুমুল সংঘর্ষে অন্তত ৫৬ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭মে) সন্ধার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে আগানগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার সরুল্লা বাড়ি, উত্তর পাড়া এলাকার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ও বেপারী বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আগানগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার সরুল্লা বাড়ি ও উত্তর পাড়া এলাকার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ও ব্যাপারি বাড়ির লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।এছাড়া বিদ্যালয়ের পাশে আনন্দ বাজার নামে একটি বাজার রয়েছে।এ বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে।এর আগে 

(২২এপ্রিল) জিল্লুর রহমান স্কুল এ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অতিথি প্যানেলের নাম নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বাদে।সেসময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগানগর দক্ষিণপাড়া সরুল্লা বাড়ির নেতৃত্ব দেন অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আর উত্তর পাড়া ব্যাপারি বাড়ির নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন।এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীর পক্ষ নিয়েও এলাকায় উত্তেজনা ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে ড্রেজার পাইপ চুরির বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে শুক্কর মিয়া ও বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীর পক্ষে আক্কাছ মিয়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় এই দুই বংশের লোকজন মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে আবার বাগবিতণ্ডা হয়।পরে এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের প্রায় অর্ধশতাদিক লোকজন আহত হন।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রওশন আরা রিপা জানান,সন্ধ্যা থেকেই রোগী আসতে থাকে। ইতিমধ্যে ৩০ জন আহত রোগী দেখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর