সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আমতলীতে ঝুপড়ি ঘরে ৭০ বছরের ইন্দ্রমনি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ৭ মে, ২০২৪

ইন্দ্রমনি বয়স (৭০) এর উপরে । শেষ জীবনে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে চান একটু। অন্যের দেয়া ৫ শতক জমিতে ঝুপড়ির মধ্যে বসবাস ১০ বছরের বেশি সময় ধরে।


বরগুনার আমতলীতে গুলিশাখালি ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের ইন্দ্র মনি (৭০) পেটের ক্ষুদা নিবারনে কখনো ঝিয়ের কাজ কখনো বা দিনমজুরের কাজ। এ কাজ করেই চলে তার সংসার।ইন্দ্র মনি এখন বয়সের ভাড়ে কাজেও যেতে পারেননা। বৃদ্ধের ছাপ স্পষ্ট চেহারায় ফুটে উঠেছে। রোগা-সোগা এই বৃদ্ধা তিন বেলা খাবারও ঠিক মতো খেতে পারেন না। স্বামী, সন্তান হারা, ইন্দ্র মনির নিজস্ব কোনো আয় নেই।


ছোট ছাপড়ার ঝুপড়ির মতো হালকা টিন শেডের ঘর তার। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের উপরের ছাউনি থেকে ঝুপঝুপ করে বৃষ্টির পানি ঝরে পড়ে। ঘরের ভিতরের সব কিছু ভিজে তছনছ হয়ে যায়। বৃষ্টির সময়ে তার জীবন চলে অন্যর বাড়িতে।


পানি কাদায় ঘরের ভিতর চলাফেরা করতে ঝামেলা পোহাতেও হয় তাদের। ঘরের চতুর্পাশে ভালো বেড়া না থাকাতে বৃষ্টির পানি বেড়ার ফাঁক দিয়ে আসে। একটু ঝর বাতাস আসলেই ঘরের উপরের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায়।


ভুমিহীনদের ঘর উপহার দিয়েছে সরকার। ভেবেছিল সেও পাবো। কিন্তু আজ পর্যন্ত পেল না। ঝুপড়ি ঘরেই থাকতে হচ্ছে তাকে।একটি ঘরের জন্য বারবার ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যনের কাছে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি, কিছুই মেলেনি তার। বর্তমানে অসহায় জীবনযাপন করছেন এই নারী।


মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রায়ণ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশের ন্যায় আমতলী উপজেলায় কয়েক ধাপে হতদরিদ্রদের ঘর দেয় সরকার। বৃদ্ধা একটি ঘর পাওয়ার আশায় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এক বুক হতাশার চিহ্ন নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।


ইন্দ্র মনি বলেন, জীবনের শেষে এসে ও মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো না। কে সাহায্য করবে আমাকে? আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমাকে যেন একটা ঘর দেয়। মৃত্যুর আগে হলেও যেন সে ঘরে থেকে যেতে পারি।


গুলিশাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ইন্দ্র মনি ঘর পাওয়ার যোগ্য হলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সাথে কথা বলে মুজিববর্ষের ঘর ‍‍যার জমি আছে সে ঘর পাবে এই প্রকল্পে আওতায় তাকে ঘর দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।


আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘ক’ তালিকার কাজ চলমান।"ক" তালিকায় যারা আছেন। যাদের জমি নেই তারা। ‘ক’ তালিকার কাজ শেষ হলেই "খ" তালিকার কাজ শুরু করবে সরকার। " খ" তালিকায় তারা থাকবে যাদের ২ শতক বা তার থেকে বেশি জমি আছে তাদের সরকার ঘর করে দিবে। আবেদন করতে বলেন আমরা চেষ্টা করবো ঘর দেয়ার জন্য।


একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর