সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উল্লাপাড়ায় বোরো ধান কাটা শুরু

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ৫ মে, ২০২৪

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এখন বছরের প্রধান আবাদের বোরো (ইরি) ধান ফসল কাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, সলঙ্গা, সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়ন এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠের পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। বোরো ( হাইব্রিড), বোরো ( উফশী) ও বোরো (স্থানীয়) মিলে মোট ৪৭ নাম জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। ধানের ফলন ভালো হারে হচ্ছে বলে কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে। এখন দিন যেতেই ধান কাটায় গ্রামীণ মজুরদের চাহিদা ও মজুরীর দাম বাড়ছে ৷


উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো তথ্যে, এবারের মৌসুমে গোটা উপজেলায় ৩০ হাজার ২শ ৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিলো ৷ সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫ হেক্টর বেশী জমিতে আবাদ হয়েছে ।


বোরো ধান ফসলের আবাদ উপজেলার প্রায় সব মাঠেই কম বেশী পরিমাণ জমিতে করা হয়েছে। কৃষকেরা বেশী হারে ফলনশীল নানা নামের হাইব্রিড জাতের ধানসহ নানা জাতের ধানের আবাদ করেছেন। জানা গেছে ব্রি ধান ৮৯ জাতের ধান সবচেয়ে বেশী পরিমাণ জমিতে আবাদ করা হয়েছে ৷ এছাড়া ব্রি ধান ২৮, ব্রি ধান ২৯, ব্রি ধান-৯২, বঙ্গবন্ধু ১০০, শুভলতা, কাটারীভোগসহ নানা জাতের ধান কৃষকেরা আবাদ করেছেন ৷


গত সপ্তাহখানেক সময়ে উপজেলার সদর উল্লাপাড়া, রামকৃষ্ণপুর,সলঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মাঠে আগাম করে লাগানো বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বনবাড়িয়া, বেতুয়া, আঙ্গারু উত্তরপাড়া, জগজীবনপুর, শহরিয়ারপুর এলাকার মাঠে কৃষকদেরকে বোরো ধান ফসল কাটতে দেখা গেছে। প্রতিবেদককে সব এলাকার কৃষকেরা জানান এবারে বেশ ভালো হারে ধানের ফলন পাচ্ছেন।তারা এমন ফলনে খুশী। বনবাড়িয়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান কাটারীভোগ ধান কেটে মাড়াই পর ওজন করেছেন। তার হিসাবে বিঘা প্রতি প্রায় ২৮ মণ হার ফলন হয়েছে। তার কথায় প্রায় একই হারে শুভলতা জাতের ধানের ফলন মিলছে। জগজীবনপুরের দুজন কৃষক কলেন তারা ব্রিধান ২৮ এর ফলন আশার চেয়ে বেশী বলতে ভালো হারে পেয়েছেন। আঙ্গারু উত্তরপাড়া মাঠে নেজাব মিয়ার জমির ধান দিন হাজিরার মজুরদের কাটা ও বয়ে নিতে দেখা গেছে।

 এদিকে মাঠের ধান কাটা কাজে গ্রামীণ দিন মজুরদের চাহিদা এখন দিন যেতেই বাড়ছে। একজন ধান কাটা কামলার দিনের মজুরীর দাম সাড়ে চারশো থেকে পাচশো টাকা হয়েছে। আঙ্গারু উত্তরপাড়া মাঠ থেকে দুটি ঘোড়গাড়ীতে করে কাটা ধান বয়ে কৃষকদের বাড়ী নিতে দেখা গেছে। ঘোড়গাড়ী চালক রফিক বলেন এক বিঘা জমির ধান আটশো থেকে এক হাজার টাকায় গোড়গাড়ীতে বয়ে কৃষকদের বাড়ী পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, কৃষকেরা বেশী হারে ফলনশীল বিভিন্ন জাতের বোরো ধান আবাদ করেছেন। সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যায় ধানে রোগ বালাই হয়নি বলা চলে। কৃষকেরা ধানের ফলনও ভালো হারে পাচ্ছেন।


একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর