সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মানিকগঞ্জে শ্রমজীবি মানুষের পাশে মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্বপ্ন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ২ মে, ২০২৪

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মানিকগঞ্জ। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রী থেকে ৪২ ডিগ্রী তাপপ্রবাহ বইছে। অসহনীয় এই গরমে চরম বিপাকে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। এই সময়ে সাধারণ মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে সরবত নিয়ে পাশে দাড়িয়েছে স্বপ্ন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সদস্যরা। তারা শরবতের গ্লাস নিয়ে ছুটছেন শ্রমজীবি মানুষের কাছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ভবনের সামনের সড়কের পাশে শ্রমজীবি ও সাধারণ মানুষের মাঝে এই শরবত বিরতণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হামিমুর রশীদ এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। স্বপ্ন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুভাষ চন্দ্র সরকারের উদ্যোগে শতাধিক শ্রমজীবি মানুষকে শরবত খাওয়ানো হয়।  

জানা গেছে, ভয়াভয় মাদকের ঘ্রাস থেকে যুবসমাজকে সুস্থধারায় জীবন পরিচালনার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে জেলা শহরের পশ্চিম দাশড়ার জরিনা কলেজ মোড় এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় মাদকাসক্তি নিরাময়, পুর্নবাসন, তথ্য সহায়তা ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘স্বপ্ন’। দীর্ঘ ছয় বছরে এই প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রায় ৮০ জনের মত মাদকাসক্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনের ফিরেছেন। বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তি ওই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাদকাসক্ত জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পরই মানবসেবা ও সামাজিক কাজ করছেনে প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। তীব্র তাপদাহে জেলা শহরের অটোরিকশা, ভ্যান চালক, অটোবাইক চালক ও সাধারণ মানুষের মাঝে একটু স্বস্তি দিতে শরবত হাতে ছুটছেন তারা। তাদের এমন কাজে খুশিও হয়েছেন শ্রমজীবি এসব মানুষেরা।

মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে সারাদেশের মত মানিকগঞ্জও পুড়ছে। এই তীব্র তাপদাহে জেলা শহরে কাজ করতে আসা শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষরা ইচ্ছে থাকলেও এক গ্লাস শরবত কিনে খাওয়া হয়ে ওঠে না। তাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এবং তাপদাহ না কমা পর্যন্ত এই শরবত বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই এই শরবত বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। সবচেয়ে ভালো লাগে এই কাজে আমার প্রতিষ্ঠানে থেকে চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ছেলেরাই মেহনতি এই শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষদেরকে শরবত খাওয়াচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর