নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা চাইলেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সুযোগও নেই।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশই যথেষ্ট। সার্বিকভাবে র্যাব, বিজিবি, আনসার বাহিনী কাজ করে থাকে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও অগ্রিম তথ্য দিয়ে থাকেন। কোনো সহিংসতা হওয়ার আগেই পুলিশ ও জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো ধরনের সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা সহিংসতার কাজে জড়িত থাকে, তাদের কাউকে কখনোই ছেড়ে দেওয়া হয় না। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে যদি কোনো কর্মকর্তা ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেদিকে সকলের তৎপরতা রয়েছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত না থাকলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/জা.নি/সা.আ