সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ফরিদপুরে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সারাদেশে ন্যায় ফরিদপুরে প্রচণ্ড গরম এবং রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে না পেরে বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। গরমে পানিশূন্যতাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতা বাড়তে থাকে। তীব্র দাবদাহে বিশেষ কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা। বিশেষ প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তারা দুপুরের আগেই ঘরে ফিরছেন। দুপুরের আগেই দোকান  ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। গরম নিবারনে বেশীরভাগ শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষ গুলো আশ্রয় নিচ্ছেন গাছ তলায়। পিপাসা নিবারনে জন্য শহরের বিভিন্ন ডাব, আখের রস ও শরবেতর দোকান গুলোতে ভিড় লক্ষনীয়। কেউ কেউ আবার গরম থেকে রক্ষা পেতে দীর্ঘক্ষন ধরে বিভিন্ন  পুকুরের পানিতে   গোসল করছেন। 

বিশেষজ্ঞরা মতে, অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু জীবিকার তাগিদে মানুষকে বাইরে বের হতেই হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র থেকে তীব্রতর তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। কাজেই এ মাসে সবারই উচিত চলাফেরায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা।

ডাবের চাহিদার কারণ জানতে চাইলে ডাব বিক্রেতা কাদের জানান, ডাব ১২ মাসই পাওয়া যায়। তবে গরমে অনেক বেশি চাহিদা থাকে। ঢাকায় তো গরম শুরু হয়ে গেছে। এখন একটু কম গরম হলেও ডাবের চাহিদা বেড়েছে

ভ্যানচালক আব্দুল কাদের  বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। গরমের কারণে ভ্যান চালানো যাচ্ছে না। আবার অতিরিক্ত গরমের কারণে লোকজন কম বের হচ্ছেন। ফলে খুবএকটা যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে।’

ড.তমাল কৃষ্ণ বলেন, ‘হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালকদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাদের একটানা কাজ না করে, বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর