প্রচন্ড তাপদহের কারণে সরকারের নির্দেশনায় মোতাবেক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রাথমিক স্কুল, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। সে মোতাবেক আগামি ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কিন্তু গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কেজি স্কুল সমুহ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রচন্ড তাপদহের মধ্যেও প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। সচেতন মহলের দাবি প্রাথমিক স্কুল, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের চেয়ে কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা বয়সে ছোট এবং কমলমতি। তাপদহে তাদের বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ সেইসব শিশুদের কেজি স্কুল খোলা রাখা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ১১৭টি কেজি স্কুল রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ জন। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোলামেলা অবকাঠামো এবং গাছপালা নেই।
পৌরসভার অভিভাবক স্বাধীন বসুনিয়া বলেন, তার শিশু কন্যা পৌরসভার একটি কেজি স্কুলের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। রোববার সকালে তার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। বাবা তার মেয়ে বললেন সরকার তো স্কুল বন্ধ দিয়েছে, মেয়ে বললেন তার স্কুল বন্ধ দেয়নি। ওই অভিভাবকের দাবি কেজি স্কুল সমুহ কোন অধিদপ্তর পরিচালনা করেন। যদি তাদের কোন দপ্তর না থাকে তাহলে কি কেজি স্কুল সমুহ মনগড়া চলছে। এনিয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পৌরসভার একটি কেজি স্কুলের একজন অধ্যক্ষ বলেন, কেজি স্কুলগুলো প্রাথমিক স্কুল সমুহের নিয়ম কানুন মেনে চলে, তবে নির্দেশনা পরিচালক ও এ্যাসোসিয়েশনের। একজন পরিচালক বন্ধ রাখলে আরেকজন খোলা রাখেন। একাধিক এ্যাসোসিয়েশন থাকার কারণে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভাব হচ্ছে না। তবে প্রশাসন নির্দেশনা দিলে অবশ্যই মানতে বাধ্য থাকবে সকলে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কেজি স্কুল সমুহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বই সরবরাহ করে। কিন্তু নিয়ম কানুন তাদের নিজস্ব। সে কারণে তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মানে না।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, কেজি স্কুল সমুহ বন্ধের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের নিকট কো নির্দেশনা আসে নাই। সরকারি নির্দেশনা আসলে প্রতিপালন করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ