সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

টেকনাফে আশ্রয় নিলেন বিজিপির আরও ১৩ সদস্য

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
ফাইল ছবি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ১৩ জন সদস্য বাংলাদেশে এসেছে। তারা কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে তাঁরা বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে ঠাঁই নেন। পরে তাঁদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চত করেন।  

সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা ও আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে রাখাইন রাজ্যের নাকফুরা ও কাওয়ারবিল থেকে পৃথক নৌকা নিয়ে বিজিপির ১৩ সদস্য নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ জলসীমানায় এসে বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনে আনা হয়। পরে ১৩ সদস্যকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির হেফাজতে আছেন মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির ২৭৪ জন সদস্য।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গত বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ৪৬ জন। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করেন আরও ১৮ জন। আগের দিন সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে আসেন দেশটির দুই সেনাসদস্য। রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির অপর ১৪ জন সদস্য। গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

বিজিবি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনের সবাইকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির হেফাজতে থাকা ২৭৪ জনকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। ব্যাটালিয়নের পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে পালিয়ে আসা সেনা ও বিজিপি সদস্যদের।

 

একুশে সংবাদ/প্র.আ.প্র/জাহা   
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর