সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আশরাফি মেহেদী হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিস

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আশরাফি মেহেদী হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

১৬ এপ্রিল সাক্ষরিত নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে মোটর সাইকেল ও গাড়িবহরসহ শোভাযাত্রা করা। অভিযোগে আরোও বলা হয়েছে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আশরাফি মেহেদী হাসানের নির্বাচনী জনসভায় গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য জনাব আখতারউজ্জামান এম.পি উপস্থিত ছিলেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে বিধি ৫(১) এবং বিধি ২২(১) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে না। বিধি ৩২ অনুসারে কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোন বিধি লঙ্ঘন করলে অনদিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ড বা অনদিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। বিধি ৩৩ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থিতা বাতিলেরও বিধান রয়েছে। 

উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ বিধিদ্বয়ের অনুসারে কেন আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফি মেহেদী হাসানকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জেলা নির্বাচন অফিসার গাজীপুর ও রিটার্নিং অফিসারের নিকট কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া প্রচারণার ক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করায় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেছে। 

উল্লেখ যে, একই অভিযোগে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক, পিতা মো. আমিন উদ্দিন প্রধান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শর্মিলী দাস, পিতা হেমন্ত গুপ্ত এর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের দায়ে পৃথকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিসার গাজীপুর ও রিটার্নিং অফিসার (উপজেলা পরিষদ নির্বাচন) এ এইচ এম কামরুল হাসান।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর