সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঈদে ফাঁকা বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রিজের মাছ-মাংস চুরি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে ফাঁকা বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রিজের মাছ-মাংস এমনকি পানির কলও খুলে নিয়েছে চোরেরা। বরিশাল নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার আলম মঞ্জিলের পাঁচতলা বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। ওই ফ্লাটে ভাড়া থাকেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবু তাহের। ঈদের ছুটিতে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ১০ এপ্রিল গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে যান। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে বাসায় চুরির খবর পেয়ে ছুটে আসেন। এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ঘরের ভেতরের জিনিসপত্র ছড়ানো-ছিটানো। বুঝতে বাকি নেই, সর্বনাশ হয়ে গেছে।

স্টিলের আলমারি থেকে টাকা, মসলার কৌটায় রাখা স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রিজের মাছ-মাংস, বাথরুমের পানির ট্যাপ পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে এ চুরির ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টার দিকে দরজার নিচ দিয়ে পানি বেয়ে সিঁড়িতে আসায় পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ারা দেখেন দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মালিক শামসুল আলম ও ভাড়াটিয়া আবু তাহেরকে খবর দেন।

আবু তাহের বলেন, ‘ঈদের আগের দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। চুরির সংবাদ পেয়ে বাসায় এসে দেখি, ঘরের ভেতরের জিনিসপত্র ছড়ানো-ছিটানো। বাড়ি যাওয়ার আগে স্ত্রী রান্নাঘরে মসলা রাখার কৌটার ভেতরে দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার রেখে যান। যাতে চোর ঢুকলেও দেখতে না পায়। আলমারির ভেতরে ছিল ২২ হাজার টাকা। সংসার খরচের জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু চোরেরা মসলার কৌটা থেকে স্বর্ণালঙ্কার, আলমারির তালা ভেঙে টাকা, ফ্রিজের মাছ-মাংস, এমনকি বাথরুমের পানির ট্যাপ পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে। ট্যাপ না থাকায় পানি বের হয়ে পুরো ঘরে ছড়িয়ে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়।’

বাড়ির মালিক শামসুল আলম বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসে বাড়ির  সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপর আর ঠিক করা হয়নি। বারবার ওই ব্যাংক কর্মকর্তার ফ্ল্যাটে চুরি হয়। আর কোনও ফ্ল্যাটে চুরি হয় না। তিনি বাসায় উঠার পর থেকে এ নিয়ে তিনবার চুরি হয়েছে। এর আগে কখনও আমার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেনি।’

তবে পাশের ভাড়াটিয়ারা জানিয়েছেন, শুক্রবার একই সময়ে বাড়ির পাঁচতলার এক ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছিল চোরেরা। তবে ওই ফ্ল্যাটের মালামাল তছনছ করলেও কিছু চুরি হয়নি।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুর হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার আগের করা দুটি জিডিও তদন্ত করে দেখা হবে।’

একুশে সংবাদ/বা. ট্রি/ এসএডি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর