গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শ্বশুর বাড়ির প্রতিপক্ষের হাতে খুন হলেন জামাই বিল্লাল হোসেন (৪০)। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আলমগীর মোল্লার স্ত্রী যুথি আক্তারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ এপ্রিল) ভোররাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চরকুশলী গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের মোখলেস গাজীর ছেলে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান জানান, প্রায় ৭ বছর আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চরকুশলী গ্রামের সরোয়ার মোল্লা নামে এক ব্যক্তি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় সরোয়ারের পরিবার নিহত বিল্লাল ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।
মামলার পর থেকে বিল্লাল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভারতে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি বিল্লাল দেশে এসে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চরকুশলী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে নিখোঁজ সরোয়ারের পরিবার সিআইডিকে খবর দেয়। বিল্লালের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে তাকে খুঁজে না পেয়ে ফিরে যায় সিআইডি। সিআইডি চলে যাওয়ার পর বাদী পক্ষের আলমগীরসহ তার লোকজন জামাই বিল্লালকে খুঁজতে থাকে। রাত ২টার দিকে বিল্লালের শ্বশুরবাড়ির পাশের কলাবাগানের মধ্যে খুঁজে পেয়ে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে আলমগীর শেখের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারও মারধর করলে রাত ৩টার দিকে সেখানে বিল্লালের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে গোপালগঞ্জ-২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় বিকেলে নিহতের স্ত্রী এসমোতারা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ