এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চুয়াডাঙ্গায় মৃদু ও মাঝারি ধরনের তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলেছে, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমবে না।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান তাপমাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) তাপমাত্রার পারদ ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে।
এদিকে শনিবার দুপুরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের এবং চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
রাকিবুল হাসান বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন এমন থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলায় এ মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
চুয়াডাঙ্গায় এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এ অঞ্চলে তেমন সম্ভাবনা নেই বলেও জানান পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন। তীব্র গরমে রোজাদারসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাণিকূলের অবস্থা হাঁসফাঁস।
চুয়াডাঙ্গা সদরের আমিরপুর মাঠে গরু চরান জব্বার আলী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, যে গরম এতে করে মাঠে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গরুও মাঠে থাকছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হয়।
ভ্যানচালক মিঠুন মিয়া বলেন, এই গরমে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। সামনে ঈদ অথচ গরমের কারণে যাত্রী নেই। খুব খারাপ অবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮-৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০-৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা