সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:৪৭ পিএম, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবানে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তিনি জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দীনকে র্যাবের বান্দরবান ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

[434246]

এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার ও নিরাপত্তায় থাকা ১০ পুলিশ সদস্য ও ৪ আনসার সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়। বুধবার বেলা ১টার পর থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুই ঘটনার জন্যই কেএনএফকে দায়ী করছে সরকার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছিলেন, নেজাম উদ্দিনকে মুক্তি দিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। 

 খন্দকার আল মঈন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এজন্য নানান কৌশলে কাজ করছে র‌্যাব। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ আছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।

নেজাম উদ্দিন সোনালী ব্যাংক রুমা উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ব্যাংকের পাশে একটি মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে যায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিনের অস্ত্রধারীরা। পরে তাঁকে নিয়ে ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে যৌথ বাহিনী রুমায় তল্লাশি চালায়। সেনাবাহিনী, পুলিশের টহল জোরদার করা হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমা শহরের সোনালী ব্যাংকে হানা দেয় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিনের অস্ত্রধারীরা। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা, নিরাপত্তারক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করা হয়। অপহরণ করা হয় ওই শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। লুট করা হয় পুলিশ-আনসারের ১৪ অস্ত্র ও ৩২০ রাউন্ড গুলি।

নেজাম উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়। রাত ৮টার দিকে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্সের মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। তাদেরকে সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। 
 

একুশে সংবাদ/ব.ট.প্র/জাহা 
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর