বোনকে বাঁচাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবার পথে মটর সাইকেলের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন ভাই। শনিবার সন্ধ্যা রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর কলেজ বাসস্ট্যান্ডে। বর্তমানে বোন কোটচাঁদপুরে,ভাই চিকিৎসাধীন রয়েছে ঢাকা মেডিকেলে।
ভুক্তভোগী প্রসিত বিশ্বাস আর হৃদয় বিশ্বাস বলেন,শনিবার রাত তখন ৮ টা বাজে। ওই সময় মটর সাইকেল যোগে আমরা হাকিমপুর আমাদের বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে কালিগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি মটর সাইকেল আমার ধাক্কা দেন। এতে করে দুই মটর সাইকেলের ৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরমধ্যে নাঈম হোসেন ও আব্দুর রহিম কে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন টিকিৎসক। আর সাদিয়া খাতুনকে ভর্তি রাখেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাঈম হোসেন ও আব্দুর রহিম কে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
জানা গেছে,সাদিয়া আর নাঈম হোসেন চাচাত ভাই বোন। শনিবার সন্ধ্যায় সাদিয়া বিষপান করে। এ সময় মটর সাইকেল যোগে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে দূর্ঘটনার কবে পড়ে বোন সাদিয়া কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ভাই নাঈম হোসেন। সাদিয়া কোটচাঁদপুর উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে,নাঈম একই গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
অন্যদিকে প্রসিত বিশ্বাস,হৃদয় বিশ্বাস চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর আব্দুর রহিম (৪৫) জালিয়া শিকদারকান্দি শরিয়তপুরের শহর আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাব্বির আহম্মেদ বলেন,ওই ঘটনায় ৫ জন আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।এদের মধ্যে একটা ছিল বিষ খাওয়া রোগী।
আর বাকি ৪ জন মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় আহত হন। এদের মধ্যে দুই জন যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে সাদিয়াকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন, ঘটনাটি শোনার হাসপাতালে পুলিশ গিয়ে ছিল। তবে ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেই কোন অভিযোগ করেনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ