সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ময়মনসিংহে চাষ হচ্ছে জাপানের ওয়াকিনাওয়া মিষ্টি আলু

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:১৮ এএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে  চাষ হচ্ছে জাপানের ওয়াকিনাওয়া মিষ্টি আলু জাপানের ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন কৃষক শেখ সাদী। বাজারে চাহিদা ও দেশী আলুর চেয়ে দাম বেশি থাকায় এই আলু বিক্রি করে মুখে হাসি ফুটেছে এই কৃষকের। এক একটি আলুর ওজন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে। স্বল্প খরচ ও অল্প পরিশ্রমে ভালো লাভ পাওয়ায় এই আলু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা।

 

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মাওহা ইউনিয়নের কড়মড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো.শেখ সাদী। প্রতিবছরই নানা জাতের ব্যতিক্রম সবজি ও কৃষি আবাদ করে এলাকায় তিনি আদর্শ কৃষক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। একদিন ইউটিউবে জাপানের ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু চাষ দেখেন। এরপরে সেই আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। এরপর যোগাযোগ করেন স্থানীয় কৃষি অফিসে। উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলির কাছ থেকে ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলুর কাটিং সংগ্রহ করে জৈব সার,কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন শেখ সাদী। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরের মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে এই মিষ্টি আলু চাষ করেন। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে জমি থেকে আলু উত্তোলন করেন। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সঠিক পরিচর্যায় প্রতি শতকে চার মণ করে আলু উত্তোলন করেছেন।

এদিকে,ওয়াকিনাওয়া জাতের আলু চাষের খবর পেয়ে স্থানীয় কৃষকরা যোগাযোগ করছে কৃষক শেখ সাদীর সাথে। তারাও এই আলু চাষের জন্য তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। কৃষক হলুদ মিয়া বলেন, আমাদের দেশীয় জাতের মিষ্টি আলু আকারে ছোট। কিন্ত শেখ সাদী বিদেশি যে জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেছে সেটা প্রতি পিসের ওজন হাফ কেজির ওপর। খেতেও সুস্বাদু। পাশাপাশি বাজারে দেশী আলুর তুলনায় দামও বেশি। আমরাও এখন এই আলু চাষে করতে উদ্যোগ নিচ্ছি। কৃষক শেখ সাদী বলেন, আমি সবসময় ব্যতিক্রম ও নতুন কৃষি আবাদ করতে পছন্দ করি। একদিন ইউটিউবে ওয়াকিনাওয়া জাতের আলুর চাষ দেখে কৃষি যোগাযোগ করি। পরে সেখান থেকে প্রদর্শনী পাই। কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সঠিক পরিচর্যা করে আমি ভালো ফলন ও বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, ওয়াকিনাওয়া আলু সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এই আলু এক একটির ওজন হাফ কেজি থেকে সর্বোচ্চ এক কেজির ওপরে হয়। আমরা প্রথমবারের মতো এই আলুর একটি প্রদর্শনীর শেখ সাদীকে দিয়েছি। ভালো ফলন হওয়ায় এখন অন্যান্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছে এই জাতের আলু চাষ করতে।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর