সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মাদারগঞ্জে লোডশেডিংয়ে কৃষকের মাথায় হাত

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০২৪

দেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধানের প্রায় ৬০ শতাংশই আসে বোরো মৌসুম থেকে। এ জন্য এ মৌসুমের আবাদে কোনো কারণে বিঘ্ন ঘটলে ধানের ঘাটতি দেখা দেয় দেশে। বেড়ে যায় চালের দাম। এবারের বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই নানা রকম সংকট সঙ্গে নিয়েই আবাদে নামতে হয়েছে দেশের কৃষককে। 

ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, সারের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বোরো আবাদে কৃষকের ব্যয় এবার অনেক বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি বীজের দাম বৃদ্ধি, কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধিসহ আনুষঙ্গিক আরও অনেক খরচ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে গত বছরের চেয়ে এবারের বোরো মৌসুমে বিঘাতে প্রায় ৩ হাজার টাকা এবং একরে ৯ হাজার টাকা বেশি ব্যয় করতে হয়েছে কৃষককে। এতে করে ব্যয় বৃদ্ধির চাপে এবার কৃষকদের দিশাহারা অবস্থা। সকল ব্যয় কাটিয়ে উঠলেও নতুন সমস্যার মুখে পড়েছেন কৃষকরা। দির্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের কারনে সেচ পাম্প চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে নস্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল। 

উপজেলার পশ্চিম সুখনগড়ী এলাকার কৃষক হুমায়ুন কবির বলেন আমি এবার ৮ বিঘা জমি বোরো আবাদ করে বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে হতাশায় আছি। দিন রাত মিলে ৩ ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকেনা ফসলি জমিগুলো ফেটে চৌরচির হয়ে যাচ্ছে। 

উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন বোরো চাষে সকল খরচা বেশি তার মধ্যে আবার বিদ্যুৎ লোডশেডিং। এই লোডশেডিংয়ের কারনে ফসলি জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। দ্রুত এর সমাধান না হলে ফসলের মুখ দেখা কঠিন হয়ে পরবে।

 উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা  কৃষিবিদ শাহাদুল ইসলাম বলেন,  বোরো ধান ক্ষেতে সেচের বিকল্প নেই যে কারনে বিদ্যুৎ অফিসে বলা আছে যাতে বোরো মৌসুমে কৃষকের সেচে কোন রকম বিঘ্ন না ঘটে। প্রয়োজনে রাতের ১১টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত  নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিবে।

জমালপুর পল্লী বিদ্যৎ সমিতির মাদারগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম ওবায়দুল্লাহ্ আল মাসুম বলেন চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যৎ কম পাচ্ছি যে কারনেই সমস্যা হচ্ছে। আলোচোনা চলছে খুব শিগ্রই এটার সমাধান হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর