সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উলিপুরে সূর্যমুখী চাষে তিন বন্ধুর ব্যাপক সাফল্য

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ৫ মার্চ, ২০২৪

কুড়িগ্রামের উলিপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিন বন্ধু মিলে চলতি মৌসুমী সূর্যমুখী চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তাদের এই সাফল্যের জন্য এলাকায় অনেক কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিত্যক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষ কিভাবে ভালো ফলন হয় সেটা নিয়ে তারা অনেক চিন্তা ভাবনা করে। পরে তিন বন্ধু মিলে ১০০ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে।

স্থানীয় তিন বন্ধু সাহাদত হোসেন, ওসমান আলী, ও জিয়াউর রহমান তিন বন্ধু মিলে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাড়োবা মৌজায় ১০০ শতাংশ পরিত্যক্ত জমি লিজ নেন।  
এরপর উলিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত  উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিমের পরামর্শ নিয়ে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেন। শুরু থেকে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে ফলন হয়। ফলন ভালো হলে হেক্টর প্রতি ২ মেট্রিক টন উৎপাদন হওয়া সম্ভব। এই প্রথম চরাঞ্চলে বেশি জমিতে সূর্যমুখী খেত দেখতে পার্শ্ববর্তী কৃষকরা এসে ভিড় করছে। তরুণ উদ্যোক্তা সাহাদত হোসেন বলেন, পারিবারিক আর্থিক চাহিদা এবং পরিত্যক্ত জমিতে লিজ নিয়ে আমরা তিন বন্ধু মিলে সূর্যমুখী চাষ করি। ভালো ফলন হয়েছে।

পাশাপাশি কম খরচ হাওয়া আগামীতে সূর্যমুখীর উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় কৃষক আব্দুল বারেক, মজিবর মন্ডল, আজগর আবু সাঈদ, শামসুল হকসহ অনেকে জানান, তিন বন্ধুর এমন উদ্যোগ আমাদের নজর কেড়েছে। আগামীতে আমরাও সূর্যমুখী আবাদ করব। এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাহিরে থাকায় বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী জানানো হবে বলে জানান।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম জানান, তিন তরুণ উদ্যোক্তা আমাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফল পেয়েছে। সূর্যমুখীতে কম খরচ তাই ভুট্টার চেয়ে এর লাভ বেশি হবে। সূর্যমুখী তেল সরিষার তেলের মত ব্যবহার করা যাবে। এই তেল হার্টের রোগীর জন্য উপকার বেশি। পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়াও এর খৈইলও গরুর খাবার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। 

 

একুশে সংবাদ/ন.দা.জে/সা.আ

 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর