সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নরসিংদীতে প্রধান শিক্ষকের প্রতারণায় পরীক্ষা দিতে পারেনি ৬ শিক্ষার্থী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নরসিংদীতে প্রধান শিক্ষকের প্রতারণায় প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না ৬ শিক্ষার্থীর। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ছিল এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। এই দিন সকালে পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়েও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষা না দিতে পারা শিক্ষার্থীরা হলো- মেঘনা, চাঁদনী, তৈয়বা, জান্নাতুল, অর্পিতা এবং সুমাইয়া।  

এরা প্রত্যেকেই নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং নরসিংদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় তারা নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগে তারা নরসিংদী সদরস্থ নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ শিক্ষার্থীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে  বুধবার রাত থেকেই তিনি লাপাত্তা হয়ে যান।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং নরসিংদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় ৬ শিক্ষার্থী। পরে ছাড়পত্র নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠান নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতের প্রলোভন দেখায় প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা নিয়ে রেজিষ্ট্রেশন কার্ড এবং প্রবেশপত্র দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত প্রবেশপত্র দেয়ার আশ্বাস এর পর তাদেরকে রায়পুরা উপজেলার বালুয়াকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার কথা বলে মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যায় শিক্ষক আমিনুল। এরপর থেকে পলাতক রয়েছেন এই শিক্ষক। প্রবেশপত্র পাবার আশায় বৃহস্পতিবার যথারীতি পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে সেখানে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া হলে প্রবেশ করতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সেখান থেকে ফিরে নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করে। পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পাশাপাশি প্রতারক শিক্ষকের বিচার দাবী করে তারা।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে বিদ্যালয়টির অনুমোদনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতারক শিক্ষককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও প্রতারকদের হাত থেকে সাবধানতা অবলম্বনের আহব্বান জানান জেলা প্রশাসক।


একুশে সংবাদ/সা.হ.প্র/জাহা

 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর