সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পীরগঞ্জে চোরের কামড়ে দুই নারী হাসপাতালে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:০৬ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অটো রিক্সা ভ্যানের ব্যাটারী চোরকে ধরতে গিয়ে দুই নারী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহত দুই নারীকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার গোদাগাড়ী সিন্দুর্ণা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটক চোরকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটক রাখা হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের গোদাগাড়ী গ্রামের হানিফার ছেলে মামুন (২৫) বুধবার গভীর রাতে একই এলাকার সিন্দুর্ণা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে ব্যাটারী চালিত রিক্সা ভ্যানের ব্যাটারী চুরি করতে যায়। এ সময় আনোয়ার হোসেনের কন্যা অনামিকা বাড়ির উঠানে থাকা ওই রিক্সা ভ্যানের ব্যাটারী খোলার শব্দ শুনতে পান। জানালার ফাঁক দিয়ে ওই চোরকে দেখতে পেয়ে তার মা জেসমিন কে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন তিনি। গৃহকর্তা আনোয়ার হোসেন বাড়িতে না থাকায় মা ও মেয়ে ঘর থেকে বের হলে ওই চোর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পালানোর সময় বাড়ির টাটি বেড়ার সাথে চোর মামুন আটকা পড়লে তারা তাকে জাপটে ধরে।

চোর তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে মা ও মেয়েকে এলোপাথাড়ী কিষ, ঘুষী চড় থাপ্পর মারতে থাকে। এরপরেও চোরকে ছেড়ে না দেয়ায় মা ও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ওই চোর। এসময় মা মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে চোরের কাছ থেকে তাদের রক্ষা করে এবং চোরকে আটক করে। খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আটক চোরকে সেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা মহিলা ওয়ার্ডের ১২ ও ১৩ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহমান সোহান জানান, মা ও মেয়ের শরীরের কয়েক স্থানে কামড়ের দাগ আছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভয়ের কোন কারণ নাই।

এ বিষয়ে সেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, তিনি উপজেলায় মিটিং এ ছিলেন। এ জন্য বিকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। পরিষদে গিয়ে বিষয়টি দেখবেন। তাছাড়া ভূক্তভোগী পরিচারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করলে চোরকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল আনাম জানান, বিষয়টি ইউ’পি চেয়ারম্যান তাকে জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিকাল পৌনে ৫ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চোর ইউনিয়ন পরিষদে আটক ছিল।

 

একুশে সংবাদ/ল.র.প্র/জাহা

 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর