সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঠাকুরগাঁও প্রবাসীর বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালকার সহ চুরি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার মধ্যবর্তী গোগোর ঝাড়বাড়ি এলাকার আমেরিকান প্রবাসী শরিফ হাসান এর বাড়িতে সম্প্রতি নগদ টাকা সহ প্রায় ২১ লাখ টাকার স্বর্ণালকার চুরির ঘটনা ঘটেছে। 

এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর পিতা রাণীশংকৈল থানায় অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তিনি। তার উপর ক্ষেপেছেন ওসি। ভূগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। তবে থানা পুলিশ বলছে তারা চুরির বিষয়টি তদন্ত করছে।

জানান যায়, ঝাড়বাড়ি এলাকার আমেরিকান প্রবাসী শরিফ হাসানের বাড়ির লোকজন প্রতিদিনের মত গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ২৪ ডিসেম্বর ভোরে ওই প্রবাসীর পিতা তোফাজ্জল হোসেন ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য উঠলে ঘরের জিনিসপত্র বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর কেচি গেটের তালা ও ষ্টিলের আলমারি ও কাঠের আলমারির তালা ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পান। চোরেরা কাঠের আলমারির তালা ভেঙ্গে নগদ ১ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় সিসি ক্যামেরার হার্ডডিক্সও খুলে নিয়ে যায় চোরেরা। চুরির ঘটনা জানতে পেরে ওইদিন রাণীশংকৈল সহকারি পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল আলম ও রাণীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। তাদের পরামর্শে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বিষয়টি তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হন রাণীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানা। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা নেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ ভাজনদের বিষয়ে থানা পুলিশকে তথ্য দেয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ।

এদিকে সন্দেহভাজনরা পরোক্ষভাবে ওই প্রবাসীর পিতা তোফাজ্জল হোসনেক নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন এবং তার বাড়িতে আবারো চুরি ঘটনা ঘটবে বলে বাড়ির লোকজনকে শাসাচ্ছেন।

এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন জানান, পুলিশকে অভিযোগ দেয়ার এক সপ্তাহেও থানায় মামলা না হওয়ায় বিষয়টি তিনি পুলিশ সুপারকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হন রাণীশংকৈল থানা ওসি সোহেল রানা। পরে ওসি মামলা নিলেও তিনি (তোফাজ্জল) যেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার চোখের সামনে না যান সেজন্য প্রকাশ্যে শ^াসান। গত ২ জানুয়ারি থানায় মামলা রুজু হলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। সন্দেহভাজনদের নাম থানা পুলিশকে জানানোর পরেও তারা তালবাহান করছেন। কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তার বাড়িতে তিনি এবং তার স্ত্রী ছাড়া কেউ থাকেন না। তার পরিবারকে নিঃস্ব করে পথে বসানো হবে বলে সন্দেহভাজনরা তাকে এবং তার আমেরিকা প্রবাসী ছেলেকে মোবাইল ফোনে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। হুমকি ধামকির বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়েও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবী করেন। 

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানার সাথে মোবাইল ফোনে (০১৩২০১৩৭৪২৮) একাধিকার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাদিরুল মুরাদ মুঠোফনে বলেন, (০১৭৭৬৯০২৭১৯) বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ থাকলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর