সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পৌষ-সংক্রান্তি উৎসব শ্রীমঙ্গলে জমে ওঠেছে মাছের মেলা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পৌষ-সংক্রান্তি উপলক্ষে জমে ওঠেছে মাছের মেলা। 

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সরজমিন মাছ মেলা ঘুরে দেখা যায়, দিনব্যাপী এ মেলায় হাওর ও নদীতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা দেশীয় প্রজাতির তরতাজা মাছ কিনতে বিভিন্ন স্থান থেকে সৌখিন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। অনেক ক্রেতারা খুশিমনে বেশি দামে কিনছেন তাদের পছন্দের মাছ। আরও দেখা যায়

উৎসব উপলক্ষে মাছ বাজার লোকে লোকারণ্য। মেলা উপলক্ষে চলছে উৎসাহ উদ্দীপনা। কেউ কেউ মেলা থেকে বড় বড় মাছ কিনছেন। আবার কেউ কেউ মোবাইলে চেনা অচেনা বড় মাছের ছবি ও ভিডিও ধারণে ব্যস্ত। 

বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বাঘাইড়, রুই, বোয়াল, আড়ই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, গজারসহ নানা জাতের দেশীয় প্রজাতির বিশাল বিশাল মাছ নিয়ে পসরা সাজিয়ে রেখে বিক্রি করছেন। বড় মাছের সঙ্গে মেলায় রয়েছে ছোট মাছের দোকানও। মেলায় ছোট আকারের মাছের দাম ৩ থেকে ১২ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের মাছের দাম ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা এবং বড় সাইজের মাছের দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হাঁকানো হচ্ছে। এবারের মাছ মেলায় ৫০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছের দাম হাকানো হচ্ছে ১ লক্ষ টাকা। মৎস ব্যবসায়ী মফিজ মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান-প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলা পৌষ মাসের শেষদিন এই উৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করে থাকেন। 

এ উপলক্ষে শত বছর ধরে শ্রীমঙ্গলে মাছ মেলা হয়। বাঘাইড় মাছসহ নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ি মফিজ মিয়া জানান, ৫০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ বিক্রি করতে দাম চেয়েছেন ১ লক্ষ টাকা। একজন ক্রেতা মাছটির দাম করেছেন ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি ৯০ হাজারের কমে বিক্রি করবেন না। মাছ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন ৪৫ কেজির বাঘ মাছটির দাম হাকাচ্ছেন ৯০,০০০ টাকা। ক্রেতারা দাম করছেন, কিন্তু ভাালো দামে কেউ না কিনলে তিনি বিক্রি করবেন না। 

মাছ বিক্রেতা হাবিব মিয়ার ৩৫ কেজির একটি চিতল মাছের দাম চাইলেন ৭২ হাজার টাকা। তিনি মাছটি ৭০ হাজার টাকার কমে বিক্রয় করবেন না বলে জানান। 

মাছ বিক্রেতারা জানান, মাছের মেলায় শ্রীমঙ্গলের স্থানীয়রা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে মৎস্য প্রেমীরা মেলায় ভিড় জমান। প্রতি বছরের ন্যায় এ মেলায় সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, হাকালুকি আর সুনামগঞ্জের হাওর থেকে নিয়ে আসা হয় বিশাল আকারের বাঘ, চিতল, রুই, কাতলা,বোয়াল, গজার,আইড়সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় মাছ। 

মৎস ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন মাছের মেলা শুরু হয়। শত বছর ধরে এ মেলার আয়োজন হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা উপলক্ষে মেলায় মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকে। তবে আশানুরুপ বেচাকেনা হচ্ছে না বলেও তিনি জানান।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর