সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কোটালীপাড়ায় ইভটিজিংয়ের শিকার স্কুলছাত্রী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল এক ছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে প্রধান শিক্ষকের প্রতিশ্রুতিতে ওই ছাত্রী স্কুলে আসা শুরু করেছে। তবে আতংকে রয়েছে পিতা-মাতা।


ঘটনাটি ঘটেছে কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামে। ওই স্কুল ছাত্রী মাচারতারা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।


জানাগেছে, গজালিয়া গ্রামের হরেন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে রনজিৎ হালদার (৫০) স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত ইভটিজিং করে আসছিল।


একটা সময় ওই ছাত্রী ভয়ে স্কুলে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীর মা-বাবা তাদের মেয়ের কাছে স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়।


পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর মা-বাবা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র হালদারকে জানালে তার প্রতিশ্রুতিতে আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা শুরু করেছে।


ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, রনজিৎ হালদার দুইমাস ধরে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমার মেয়েকে ইভটিজিং করে আসছিল। একটা সময় সে ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। স্কুলে না যাওয়ার কারন জানতে চাইলে সে আমাকে ঘটনাটি জানায়। এরপর আমরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র হালদারকে জানালে তার প্রতিশ্রুতিতে আমার মেয়ে স্কুলে আসা শুরু করেছে। তবে আমরা পারিবারিক ভাবে আতংকে রয়েছি।


ওই ছাত্রীর মা বলেন, রনজিৎ হালদারের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে সবাই ভারতে থাকে। সে মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসে। সে আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে শুধু ইভটিজিংই করে না। আমার মেয়েকে বিয়ে করে ভারতে নিয়ে যেতে চায়। 


এ বিষয়ে জানার জন্য রনজিৎ হালদারের পৈত্রিক বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই সঞ্জয় হালদার বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ উঠেছিল। সেটি পারিবারিক ভাবে মিমাংসা হয়েগেছে।


বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র হালদার বলেন, ঘটনাটি আমি জানার পর ওই ছাত্রীর বাবাকে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করিয়েছি। আমিও বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা একটি অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি বিষয়টি কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) তদন্ত করে দেখতে বলেছি। তদন্তে যদি রনজিৎ হালদার দোষী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ


 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর