সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

তানোরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত বরেন্দ অঞ্চল তানোর। আর সেই তানোরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ করা হয়েছে সরিষা। 

উপজেলার যেদিকে তাকাই চোখ যাই যতদূর  সেদিকেই  শুধু সরিষা ফুলের হলুদের সমারহ। মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করে মধু সংগ্রহ করতে উড়তে দেখা যাচ্ছে মৌমাছির দল। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, এবার আলু চাষের পাশাপাশি সরিষা চাষও হয়েছে ব্যাপক। অথচ তানোরে প্রায় বিলুপ্তির পথে বসেছিলো সরিষা চাষ। কিন্তু হঠাৎ করে এবার তানোর উপজেলা জুড়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে হয়েছে সরিষা চাষ। যা এর আগে কোন দিন দেখা যায়নি এমন সরিষা চাষ করা। 

বেশকিছু সরিষা চাষির সাথে কথা বলে জানা গেছে,  এক বিঘা জমিতে প্রায় ৬ থেকে ৭ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে। এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ২ থেকে ৩হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। 

কৃষ্ণপুর গ্রামের সরিষা চাষি সেলিম উদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম জানান, তারা এবার একেকজন সরিষা চাষ করেছেন ৪ থেকে ৫ বিঘা জমিতে। তুলনা মূলক খরচও হয়েছে অনেক কম। সরিষা চাষে বেশি সেচ বা সার পটাশও লাগেনা। একটাই কম খরচে আবাদ করে কৃষক লাভবান হয় তা হচ্ছে সরিষা চাষ। বর্তমান বাজারে বারি ১৪ ও বারি ১৮ সরিষা বীজের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে বেশি। এর ফলনও হয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। আবার আগেও উঠে এসব সরিষা।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষক। যা এর আগে কোন দিন এতো পরিমাণে সরিষা চাষ করা হয়নি এ উপজেলায়। তবে কি পরিমাণে কৃষক সরিষা চাষ করেছেন তা জানাতে পারেনি কৃষি অফিস। 

তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, সরিষা চাষ একটি লাভজনক আবাদ,এআবাদে কৃষকের একে বারে কম খরচ হয়ে থাকে। অন্যবছরের তুলনায় এবছর ব্যাপক পরিমাণে এ উপজেলায় সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। আশা করা যাচ্ছে সরিষা চাষ করে এবার কৃষক ভালো লাভবান হবেন এবং আগামীতে সরিষা চাষে আরো কৃষক উদ্ভিত্ব হবে বলে মনে করেন তিনি। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর