সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাউফলে বৃদ্ধা নারীর হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফলে জমিজমা বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধা নারীকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

 শনিবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছোটডালিমা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যাায়, মৃত গনি রাড়ীর দুই ছেলে সুলতান রাড়ী ও রত্তন রাড়ী, এই দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ মিমাংসায় বসা হলেও সালিশগণ কোনো সমাধান দিতে পারেননি। 

ঘটনার দিন সকালে রত্তন রাড়ী তার ভাগের জায়গায় সুপারি গাছ লাগাতে গেলে তাকে সুলতান রাড়ী ও তাঁর স্ত্রী এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে সুলতান রাড়ী, তার স্ত্রী আমেনা বেগম, ছেলে চুন্নু রাড়ী, ছালাম রাড়ী, ছেলের বৌ হেপি বেগম ও ইমন এরা সবাই মিলে তাদেরকে মারধর করেন। 

এক পর্যায়ে তারা রত্তন রাড়ীর স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫৫) কে টেনে হেঁচড়ে ঘরে নিয়ে গামছা দিয়ে খাটের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে সুলতান রাড়ী তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মামলা দিবে বলে হুমকি দেন। উপায়ন্তর না পেয়ে তারা পুলিশকে খবর দেন। প্রায় দুই ঘন্টা পরে পুলিশ এসে গামছা দিয়ে খাটের সাথে বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন।

প্রতক্ষদর্শী সাহিনুর বেগম বলেন, চুন্নু রাড়ী এসে আমার চাঁচিকে (রত্তন রাড়ীর স্ত্রী) লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাকে চুল ধরে টেনে হেঁচরে ঘরে নিয়ে আটকে মারধর করেন।

অভিযুক্ত সুলতান রাড়ী ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমরা শুধু বেঁধে রেখেছি কোন মারধর করিনি, এতে যদি আমার জেল ফাঁস হয় হোক। 

নাতি ইমন বলেন, আমি কিছু করিনি আমার মা, চাচি ও দাদী মিলে তাকে বেঁধে রেখে মারধর করেন।

বাউফল থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এসে তাকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি এবং সুলতান রাড়ী তার ঘরে বন্দী করে রেখে অনেক মারধর করেছেন। আমি তাকে উদ্ধার করে অসুস্থ অবস্থায় বাউফল হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।

এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনসার্স (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, আমি ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর